এইদিন বিনোদন ডেস্ক,১৭ ডিসেম্বর : বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের বাসভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে চিকিৎসকদের নিয়োগপত্র বিতরণের সময় একজন মহিলা ডাক্তারের হিজাব খুলে ফেলা নিয়ে মুসলিমদের একাংশ ও কংগ্রেস তুমুল বিরোধিতা করছে৷ এরই মাঝে নীতিশ কুমারের সমর্থনে এগিয়ে এলেন বলিউডের গীতিকার এবং চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতার । একটি অনুষ্ঠানে জনৈক্নএক মুসলিম তরুনীর প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,’নিজের মুখ দেখাতে এত লজ্জাবোধ কেন? আমি স্বীকার করছি স্ত্রী বা পুরুষ যে পোশাকই পরুক না কেন তাদের অমর্যাদা করা উচিত নয় । কেউ হয়ত শর্টস পরেছে,কেউ টিশার্ট পরেছে,কেউ স্লিভলেস টিশার্ট পরেছে । ওই অবস্থায় তারা যদি অফিস বা কলেজে আসে তা ভালো কথা নয় । তাদের কোনো ভদ্র পোশাক পরা উচিত । মেয়েদেরও ভদ্র পোশাক পরা উচিত । কিন্তু তুমি মুখ ঢেকে আসছ,তার মানে কি ? তার মুখের মধ্যে এত কি অসম্মানজনক অশ্লীলতা আছে যাতে তার মুখ ঢাকতে হল ? কেন ? এর কারন কি ? এটা পারিপার্শ্বিক চাপ ।’
তিনি বলেন,’যদি তার পছন্দের উপর ছেড়ে দেওয়া হয়….ওর মগজধোলাই হয়েছে । যদি সে বলে যে আমি নিজের ইচ্ছায় পরেছি….আসলে তার মগজধোলাই হয়েছে । সে ভালো করেই জানে যে সমাজের একাংশ তার প্রশংসা করবে । যদি ওদের ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে কেউ অকারণ কেন নিজের মুখ ঢেকে রাখবে,ভাই ? ও কি নিজের মুখকেই ঘৃণা করে নাকি নিজের মুখের জন্য লজ্জিত ? কি? কেন ?’
এদিকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের বাসভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে চিকিৎসকদের নিয়োগপত্র বিতরণের সময় একজন মহিলা ডাক্তারের হিজাব খুলে ফেলা নিয়ে চলমান বিতর্কের জবাব দিয়েছে জেডিইউ। জেডিইউর সিনিয়র নেতা এবং বিহারের মন্ত্রী জামা খান বলেছেন যে নীতিশ কুমার নারীদের সম্মান করেন এবং খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে তা করেননি।
জামা খান বলেছেন যে মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছিলেন বিশ্ব একজন সফল মুসলিম কন্যার মুখ দেখুক। খান বিরোধী দল এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের কিছু নেতাকে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য নীতিশ কুমারকে অপমান করার অভিযোগও করেছেন। তিনি বলেন, “এটা দুঃখজনক যে আজকের নেতাদের স্তর এতটাই নীচে নেমে গেছে যে তারা কী বলছেন তা বুঝতে পারছেন না। তারা যে নেতার (নীতীশ কুমার) কথা বলছেন তিনি বিহারের সকল বর্ণ, ধর্ম এবং শ্রেণীর মানুষকে সম্মান করেছেন।”
জামা খান বলেন, “নীতীশ কুমার কাউকে এমন ভাব দেখান না যে তিনি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এমন ভাব দেখান যেন তিনি তাদের অভিভাবক। গতকাল লোকেরা যা নিয়ে কথা বলছে তা হল, তিনি তার মেয়ের মতো, এবং এটি স্নেহের নিদর্শন।” তিনি আরও বলেন, “নীতীশ কুমার বিহারে বসবাসকারী সকল বর্ণ ও ধর্মের মানুষকে ভালোবাসেন এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি তাঁর অগাধ শ্রদ্ধা রয়েছে। যখন কেউ এমন একজন নেতার দিকে আঙুল তোলে তখন দুঃখ হয়।”

