দিব্যেন্দু রায়,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),১২ জুন : পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের উপর শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে । আজ মনোনয়নের তৃতীয় দিনেও পূর্ব বর্ধমান জেলার বড়শুলে ব্যাপক হিংসা হয়েছে । তৃণমূলের মারে মাথা ফাটে এক সিপিএম কর্মীর । এই পরিস্থিতির মাঝে সিপিএম নেতার সঙ্গে তৃণমূল বিধায়কের সৌজন্য বিনিময় দেখলো পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারবাসী ।
আসলে আজ সোমবার ভাতার বাজারে বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দেয় বেশ কয়েকজন সিপিএমের প্রার্থী । সঙ্গে ছিলেন সিপিএমের ভাতার এরিয়া কমিটির সদস্য তথা সারা ভারত কৃষক সভার পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সহ সম্পাদক নজরুল হক । মনোনয়নপত্র দাখিলের পর ভাতার থানার বামশোর গ্রামের বাসিন্দা নজরুল হক বিডিও অফিস থেকে বেড়িয়ে আসতে ভাতারের তৃণমূল বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী তাঁর কাছে যান । সিপিএম নেতার পিঠে হাত রেখে তিনি জিজ্ঞাসা করেন,'” কি রে, নমিনেশন করলি ? কোনও সমস্যা হয়নি তো ?’ উত্তরে নজরুল হক বলেন,’না দাদা, কোনও অসুবিধা হয়নি। আমি নিজেও আজ মনোনয়নপত্র জমা করেছি ।’
পরে বেশ কিছুক্ষণ ধরে বিরোধী দলের নেতার সঙ্গে বাক্য বিনিময় করেন মানগোবিন্দবাবু । শেষে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন,’নজরুল আমার ছোট ভাইয়ের মত,দীর্ঘ দিনের পরিচিত । তাই মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে ওদের কোনো সমস্যা হয়েছে কিনা সেটাই জানতে চাইলাম । এটাই রাজনৈতিক সৌজন্যে ।’
কিন্তু এদিন তৃণমূল বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী রাজনৈতিক সৌজন্য দেখালেও ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল গোটা ভাতার বাজার । অবশ্য তখন বিধায়ক ছিলেন না মানগোবিন্দবাবু । ভাতারের বিডিও অফিসে যাওয়ার রাস্তাগুলি তৃণমূলের লোকজন কার্যত ব্যারিকেড করে রেখে দিয়েছিল বলে অভিযোগ । তা এড়িয়ে বিরোধী কোনো দলই বিডিও অফিসে গিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি । মনোনয়ন জমা দিতে গেলেও হয়েছিল হামলা । এই নজরুল হককেই প্রাণ বাঁচাতে স্থানীয় একটি বাড়িতে আত্মগোপন করে থাকতে হয়েছিল বলে জানা গেছে । স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি,কোনো প্রকার হিংসা ছাড়াই পঞ্চায়েত নির্বাচন করে রাজ্যে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করুক পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার ।।