এইদিন ওয়েবডেস্ক,২৪ জানুয়ারী : মুঘল হানাদার বাবর সুপ্রাচীন শ্রীরাম মন্দির ধ্বংস করে নিজের নামে মসজিদ নির্মানের পর থেকে দীর্ঘ পাঁচ শতাব্দী ধরে মন্দিরটি ফিরে পেতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ । অবশেষে নরেন্দ্র মোদীর শাসনকালে তাদের সেই স্বপ্নপূরণ হয়েছে । গত ২২ জানুয়ারী রামমন্দিরের উদ্বোধন ও রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা সম্পন্ন হয়েছে । ভারতসহ বিশ্বের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের মধ্যে এনিয়ে ব্যাপক উন্মাদনা কাজ করছে । উদ্বোধনের পর প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ অযোধ্যায় গিয়ে প্রভু শ্রীরামের দর্শন করছেন । এরই মাঝে শ্রীরামমন্দির নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) ।
একটি বিবৃতিতে ওআইসির জেনারেল সেক্রেটারিয়েট শহীদ বলেছেন,’ওআইসি এর আগের বৈঠকে বিদেশমন্ত্রী পরিষদ কর্তৃক ব্যক্ত করা অবস্থানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে, জেনারেল সেক্রেটারিয়েট বাবরি মসজিদের আকারে ইসলামী সভ্যতার নিদর্শন মুছে ফেলার লক্ষ্যে পদক্ষেপের নিন্দা জানায়। যা পাঁচ শতাব্দী ধরে একই জায়গায় ছিল ।’
এদিকে এই সুযোগে ভারতকে ছোট করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানি মিডিয়া । প্রসঙ্গত,মার্কিন সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী ২২ জানুয়ারী অযোদ্ধায় ৫ থেকে ৭ লাখ দর্শনার্থীর সমাবেশ হয়েছিল । কিন্তু পাকিস্তানি সংবাদপত্র ডন নিউজের উর্দু সংস্করণের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,’সোমবার গতকাল রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রায় ৭,০০০ মানুষ উপস্থিত ছিলেন, যেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নতুন মন্দিরে হিন্দু দেবতা রামের একটি মূর্তি উন্মোচন করেছিলেন। যে জায়গায় ১৯৯২ সালে হিন্দুত্ববাদীদের ভিড় দ্বারা বাবরি মসজিদ শহীদ করা হয়েছিল ।’
উল্লেখ্য,ওআইসির অন্তর্ভুক্ত ৫৭ টি দেশ শ্রীরামের মন্দির উদ্বোধনের বিরোধিতা করলেও সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্থানে একের পর এক মন্দির ধ্বংস করার ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছিল । গত বছর পাকিস্তানের একটা চার্চেও ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় কট্টরপন্থী মুসলিম জনতা । এমনকি পৌরানিক হিংলাজ মাতা মন্দিরের একটি কাঠামো ভেঙে সেই জায়গায় কফি হাউস নির্মান শুরু হয়েছে পাকিস্তানের ইসলামি মৌলবাদী সরকারের নির্দেশে । তখন পাকিস্থানের জিহাদি মিডিয়া “ডন নিউজ”-এ কোনো প্রতিবেদন লক্ষ্য করা যায়নি ।।