প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৭ জুন : পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন দাখিলে বিজেপিকে টেক্কা দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে গিয়েছে সিপিএম । তবুও এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বহু আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয় সুনিশ্চিত করে ফেলেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা । আর তা জেনেই ক্ষোভে ফুঁষছে বিরোধী শিবির।
কমিশনের তথ্য অনুযায়ী এবার জেলায় ৬৭১টি গ্রাম পঞ্চায়েতর আসনে কোনও ভোট হবে না। আর পঞ্চায়েত সমিতির ৭৬টি আসনে বিরোধী দলের কোনও প্রার্থী নেই । তাই এই আসনগুলিতেও হবে না ভোট । মঙ্গলকোট, কেতুগ্রামের পাশাপাশি ভোট না হওয়ার তালিকাতে বর্ধমান-১ ব্লকও রয়েছে । এই ব্লকে গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭৬টি আসনে ভোট হচ্ছে না।এছাড়াও আউশগ্রাম-১ ব্লকে ৫৮টি আসনে, মন্তেশ্বরে ৪৬ টি, ভাতারে ৩৮ টি, জামালপুরে ২৬ টি, খণ্ডঘোষে ২৭ টি, রায়না-১ ব্লকে ২১ টি আসনে ভোট হচ্ছে না। পঞ্চায়েত সমিতি স্তরে কেতুগ্রাম ও মঙ্গলকোটের পাশাপাশি আউশগ্রামে ৮ টি আসনে, এবং ভাতারের পাঁচটি আসনে ভোট হচ্ছে না । আর কাটোয়া-১ ব্লকে ৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ১ টি পঞ্চায়েত সমিতি আসনে ভোট হচ্ছে না । তবে কাটোয়া-২ ব্লকের সব আসনেই ভোট হবে ।
জেলায় পঞ্চায়েতে ৪০১০ টি আসনের মধ্যে সিপিএম ৩০৩৯ টি আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির ৬৪০ টি আসনের মধ্যে ৫৪৬ টিতে সিপিএম মনোনয়ন জমা দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে অনেক পিছনে রয়েছে বিজেপি । তারা পঞ্চায়েতে স্তরে ১৯৩৪ টি আর সমিতিতে ৪০৯ টি মনোনয়ন জমা দিয়েছে।। তবে এত কিছুর মধ্যেও শাসক দলে গোঁজ প্রার্থী কাঁটা অবশ্য রয়েই গিয়েছে ।
মনোনয়ন দাখিলে ক্ষেত্রে শাসক দলের থেকে অনেকটা পিছিয়ে থাকতে হওয়ার জন্য সিপিএম ও বিজেপি নেতৃত্ব শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ করেছে । জেলা সিপিএমের সম্পাদক সৈয়দ হোসেন বলেন,’তৃণমূল সন্ত্রাসের মধ্যেও আমরা এবার মনোনয়ন দেওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলাম । সেজন্যে সিপিএম পঞ্চায়েত স্তরে ৮৫ শতাংশ আসনে প্রার্থী দিয়েছে । এছাড়াও সহযোগী দলেরা রয়েছে ।’ যদিও জেলা তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন,’বিরোধীরা যাতে ঠিক মতো মনোনয়ন দিতে পারে তার জন্য তৃণমূলের নেতা-বিধায়করা তদারকি করেছেন। আসলে বিরোধীদের পাশে মানুষ নেই । সেটা আড়াল করতেই তারা শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের মিথ্যা তুলে মান বাঁচাচ্ছে ।’।