এইদিন ওয়েবডেস্ক,রাঁচী,১৫ অক্টোবর : পরীক্ষাকেন্দ্রে টুকলি ধরতে ছাত্রীকে পোশাক খুলতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠল দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে । অপমানে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করল এক নবম শ্রেণির ছাত্রী । শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরের সীতারামদের ছায়ানগরের শারদামণি স্কুলে । ছাত্রীর শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে । বর্তমানে সে টাটা মেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । তার অবস্থা আশঙ্কাজনক ।
অগ্নিদগ্ধ ছাত্রীর কথায়,’শুক্রবার আমাদের বিজ্ঞান পরীক্ষা ছিল । আমাদের ক্লাসে দায়িত্বে ছিলেন চন্দ্রদাস স্যার । বিকেল ৪টার দিকে চন্দ্রদাস স্যার আমাকে ধরে বলে আমি নাকি টুকলি করেছি । এরপর সবার সামনে উনি আমাকে চড় মারেন । তারপর আমায় বলেন, ‘তুমি স্মার্ট হয়ে যাও, জামা খুলে ফেলো । তারপর বাধ্য হয়ে আমি সবার সামনে পোশাক খুলে ফেলি ।’
জানা গেছে,এই ঘটনার পর বিকেলে বাড়ি ফিরে নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় ওই কিশোরী । ওই অবস্থায় বাড়ির বাইরে ছুটে আসে । রাস্তায় পড়ে সে অজ্ঞান হয়ে যায় । এরপর লোকজন জল ঢেলে আগুন নেভায়। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে অগ্নিদগ্ধ ছাত্রীর পরিবার ।
যদিও অভিযুক্ত শিক্ষক চন্দ্রদাস অভিযোগ অস্বীকার করেছেন । তিনি বলেন,’আমি ছাত্রীকে পোশাক খুলতেও বাধ্য করিনি । ক্লাসে অন্য পরীক্ষার্থীরা জানিয়েছিল ওই মেয়েটি টুকলি করছিল, সে তার পোশাকে নোটটি লুকিয়ে রেখেছে । তাই আমি তাকে প্রিন্সিপালের কাছে পাঠালাম এবং পরে ওই ছাত্রী ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে গেল।’
শারদামণি স্কুলের অধ্যক্ষ গীতা রানী মাহাতো বলেন, ‘ভূগোল শিক্ষক চন্দ্রদাসকে নবম শ্রেণীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল । বিকেল চারটের দিকে তিনি ছাত্রীকে নিয়ে আমার অফিসে আসেন । ছাত্রীটি টুকলি করেছে বলে জানান । যেহেতু সে আগে কখনো এই কাজ করেনি, তাই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল । তাই তাকে ফের ক্লাসে পাঠালাম। পৌনে চারটার দিকে সে বাড়ি গেল । যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা ।’।