এইদিন ওয়েবডেস্ক,কেরালা,০৫ নভেম্বর : কেরালায় ক্রমাগত বেড়ে চলেছে ‘গ্রুমিং জিহাদ’-এর ঘটনা । চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একটি নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ করার অভিযোগে একজন তরুণ পরিচালক এবং তার বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে কেরালার কোয়েলান্ডির পুলিশ । ধৃতরা হল কেরালার কোঝিকোড়ের বাসিন্দা জসিক আলী (Jasik Ali,36) এবং তার বন্ধু শমনাজ (Shamnad,33) । ১৭ বছর বয়সী ওই নাবালিকা মেয়েটি কয়িল্যান্ডের (Koyilandy) বাসিন্দা । মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর তার বাবা-মা পুলিশের কাছে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ।
কাউমুডি(Koumudi) অনলাইনের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে,অভিযুক্তরা গ্রেফতারি এড়াতে মেয়েটিকে নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে অবস্থান বদল করছিল । কেরল-কর্নাটক সীমান্তের কাছে গুন্ডলুপেটে (Gundlupet) মেয়েটি এবং গ্রুমিং জিহাদিরা রয়েছে এমন একটি তথ্য পাওয়ার পরে, কোয়েলান্ডি সার্কেল ইন্সপেক্টর এন সুনীল কুমারের নেতৃত্বে একটি পুলিশ দল সেখানে পৌঁছয় । কিন্তু পুলিশ আসার আগেই তারা পালিয়ে যায় । পুলিশ হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে তাদের চিহ্নিত করে । শেষ পর্যন্ত তাদের কর্ণাটকের মাদিভালা থেকে ধরে ফেলে পুলিশ । নাবালিকা মেয়েটি সিনেমার জন্য এতটাই পাগল যে সে জসিক আলীর সাথে সহবাসে সম্মতি পর্যন্ত দিয়েছিল বলে জানা গেছে ।
উল্লেখ্য,ইংল্যান্ডের গ্রুমিং গ্যাংগুলির মতো একটি প্যাটার্ন কেরালায় বিকশিত হচ্ছে । গ্রুমিং জিহাদিরা কখনোই মুসলিম মেয়েদের সাথে প্রেমে করে না ।
মূলত অপ্রাপ্তবয়স্ক ‘কাফির’ মেয়েদের টার্গেট করে তারা । এই সমস্ত গ্রুপের বড়সড় নেটওয়ার্ক থাকে । থাকে প্রচুর বন্ধু । আর ওই বন্ধুরাই অপরাধীদের লুকিয়ে থাকতে সাহায্য করে । ওই সমস্ত চক্রগুলি কেরালায় অপরাধ করার পর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কর্ণাটকে গিয়ে আত্মগোপন করে ।
হিন্দু পোস্টের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কিছুদিন আগে কোঝিকোড়ের ওলাভান্নার বাসিন্দা ২৩ বছর বয়সী সালেহের বিরুদ্ধে এক নাবালিকাকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল । ওই জিহাদিও গ্রেফতারি এড়াতে বেঙ্গালুরুতে পালিয়ে গিয়েছিল । মোবাইল পর্যন্ত অফ করে রেখেছিল ওই দুষ্কৃতী । বহু জায়গায় সে আত্মগোপন করে থাকে । প্রথমদিকে কেরালা পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি বলে অভিযোগ । কিন্তু কিশোরীর বাবা-মা মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলে অবশেষে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে । পুলিশ জানিয়েছে, যারা তাকে লুকিয়ে থাকতে সাহায্য করেছিল তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে ।
এছাড়া গত জুলাই মাসে কেরালায় ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে আরও কয়েকজনের কাছে বিক্রি করার ঘটনা সামনে এসেছিল বলে প্রতিবেদনে জানা যায় । এই ঘটনায় মালাপ্পুরমের নেল্লিকাটার স্থানীয় বাসিন্দা আরাফাত এবং মালাপ্পুরমের স্থানীয় বাসিন্দা মুহাম্মদ শফিককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । পুলিশ সুত্রে খবর,আরাফাত প্রথমে ওই নাবালিকাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেমের জালে ফাঁসিয়েছিল । তারপর সে তার বন্ধু শফিকের হাতে মেয়েটিকে তুলে দেয় । দু’জনে মিলে মেয়েটিকে ধর্ষণের পর আরও কয়েকজনের কাছে বিক্রি করে দেয় । পরে মেয়েটি নিজেই বাড়ি ফিরে আসে । এরপর কাসারগোডের বিদ্যানগর থানায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর রজু করা হয় । পুলিশের কাছে মেয়েটি জানায়, আরাফাত ও মুহাম্মদ শফিক তাকে কাসারগোড, এর্নাকুলাম এবং কোঝিকোড়ের লজে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে । তারপর তাকে দেহ ব্যবসার জন্য অন্যদের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয় ।।