এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঠাকুরগাঁও(বাংলাদেশ),০১ জুন : স্থানীয় কিছু মুসলিম দুর্বৃত্ত রাস্তা থেকে অপহরণ করে নিয়ে গেল জনৈক এক হিন্দু গৃহবধুকে । দুই নাবালক সন্তানের মা’কে তুলে নিয়ে গিয়ে জোর করে ধর্মান্তরিতকরণ করা হয় বলে অভিযোগ । অথচ অপহরণের দিনেই ৫ দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে পুলিশ কার্যত নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন অপহৃতা বধুর পরিবার । ঘটনার ১২ দিন অতিক্রান্ত হলেও উদ্ধার হয়নি বধু । নেই গ্রেফতারির কোনো খবরও । বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল থানার অন্তর্গত চাপোর পার্বতীপুর গ্রামের এই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্কে আছে এলাকার সংখ্যালঘু হিন্দুরা । পুলিশের ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায় ।
জানা গেছে,অপহরণের ঘটনাটি ঘটে গত ১৯ মে সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ । ওইদিন রানীশংকল থানার চাপোর পার্বতীপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রদীপ বর্মণের স্ত্রী স্বপ্না রানি কোনো কাজে বাড়ির বাইরে গিয়েছিলেন । তিনি চাপোর পার্বতীপুর মাদ্রাসা মোড়ের পূর্ব দিকে পাকা রাস্তায় আসতেই মহম্মদ মহিদুর রহমান (৩০),মহম্মদ জাহাঙ্গির রহমান(৪০),মহম্মদ তৈইবুর রহমান(৫৫), মহম্মদ মুজিবুর রহমান(৪০),খোরশেদ(৪৫) এই ৫ দুষ্কৃতী মিলে বধুকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ ।
জানা গেছে, ঘটনার দিনেই ওই ৫ দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে রানীশংকল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বধুর স্বামী । অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন,জোর পূর্বক অপহরণ ও ভীতি প্রদর্শন প্রভৃতি ধারায় মামলা রজু করা হয় । কিন্তু এযাবৎ পুলিশ বধুকে উদ্ধার বা দূষ্কৃতীদের গ্রেফতারের কোনো আগ্রহই দেখায়নি বলে অভিযোগ । এনিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ । যদিও অপহৃতা বধুকে উদ্ধারের পাশাপাশি অভিযুক্তদের শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন রাণীশংকৈল থানার অফিসার ইন চার্জ জাহিদ ইকবাল ।।