এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাঁকুড়া,১৪ ফেব্রুয়ারী : বনে আগুন লাগলে মানুষের কি কি করনীয় তা নিয়ে সচেতনতামূলক লিফলেট বিলি করেছিল বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে পাঞ্চেত বন বিভাগ । লিফলেটের মাঝামাঝি জায়গায় ‘মানুষের তৈরি বনের আগুনের কারনসমূহ’-এর একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে ৷ ওই তালিকার একেবারে শেষে লেখা হয়েছে, ‘ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের আদিবাসী সম্প্রদায় তাদের সংস্কৃতির অঙ্গ হিসাবে বনে আগুন লাগিয়ে থাকে ।’ আর বনদপ্তরের এই বয়ান ঘিরেই ক্ষোভের আগুন ছড়িয়েছে আদিবাসীদের মধ্যে । এই বয়ানকে অপমানজনক আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে লিফলেট সংশোধনের দাবিতে সরব হয়েছে আদিবাসী সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহলের বিষ্ণুপুর শাখা ।
সোমবার সংগঠনের হাজার খানেক সদস্য বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে পাঞ্চেত বন বিভাগের অফিস ঘেরাও করে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশবাহিনী । বিক্ষোভকারীরা অফিসে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয় । এরপরই পুলিশের সাথে আদিবাসী সংগঠনের সদস্যদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় । শেষ পর্যন্ত পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে আদিবাসী লোকজন অফিস চত্বরে ঢুকে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে থাকে ।
সংগঠনের বাঁকুড়া জেলা নেতা বিপ্লব সোরেন বলেন, ‘বন আদিবাসীদের কাছে মায়ের মত । আদিবাসীরা বনে কখনও আগুন ধরায় না । বরঞ্চ বনকে বুক দিয়ে রক্ষা করে আদিবাসীরা । কাজেই বনদপ্তরের ওই বয়ান আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে অবমাননাকর । তাই এদিন আমরা ওই লিফলেট প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছি । আমাদের দাবি সংশোধন করে পুনরায় সচেতনতামূলক ওই লিফলেট ফের বিলি করা হোক । দপ্তর থেকে আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে ।’ যদিও এই প্রসঙ্গে বিষ্ণুপুরে পাঞ্চেত বন বিভাগের তরফ থেকে কোনও মতামত পাওয়া যায়নি ৷।