এইদিন ওয়েবডেস্ক,সিন্ধু(পাকিস্তান),২৫ এপ্রিল : পুলিশের মদতে একের পর এক হিন্দু নাবালিকাকে অপহরণের পর জোরপূর্বক ধর্ম পরিবর্তন করে বিয়ে দেওয়ার ঘটনা সামনে আসছে পাকিস্থানের সিন্ধুপ্রদেশ থেকে । এমনকি নাবালিকাদের অপহরণে নাম জড়িয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য পীর ফয়সাল শাহ জিলানির ভাইয়েরও । তার বিরুদ্ধে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুই নাবালিকা বোনকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে । পরিবারের লোকজন পুলিশের দ্বারস্থও হয়েছিলেন । কিন্তু পুলিশ নির্বিকার থেকে অপহরণে মদত দিচ্ছে বলে অভিযোগ । অপহৃত কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ,থানায় এনিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর থেকেই পুলিশ তাঁদের রীতিমতো হুমকি দিচ্ছে অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য । নিরাপত্তার অভাবে সিন্ধু এলাকা ছাড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে ওই পরিবারটি ।
অন্যদিকে দেহারকি সিন্ধু(Deharki Sindh) এলাকার হিন্দু কিশোরী ফারজানা ওদকে (Farzana Oad) দিন কয়েক আগে মাথায় বন্ধুক ঠেকিয়ে অপহরণের পর ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ । তারপর জোরপূর্বক ধর্ম পরিবর্তন করা হয় ওই কিশোরীর । কিশোরীর বাবা-মা এনিয়ে থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন । কিন্তু কার্যত হাত গুটিয়ে বসে আছে পাকিস্থানের পুলিশ । পাশাপাশি পাকিস্থানের সিন্ধু প্রদেশের পিরজান সারান্দি(Pirjan Sarandi) এলাকার বাসিন্দা আচার কোহলির (Achar Kohli) মেয়ে কবিতাকে জোরপূর্বক ধর্ম পরিবর্তন করে আনোয়ার সোলাঙ্কি (Anwar Solanki) নামে এক মধ্যবয়সী মুসলমানের সাথে বিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ । এক্ষেত্রেও পুলিশের ভূমিকা ন্যাক্কারজনক ।
এছাড়া গত ১৩ মার্চ বাহাওয়ালপুরের বাসিন্দা মুনির আহমেদ নামে এক ব্যক্তি ১৫ বছরের এক হিন্দু মেয়েকে অপহরণ করে । মেয়েটিকে ফয়সালাবাদে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে মুনির । তাকে জোরপূর্বক ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয় । তারপর ধর্ষক মুনির আহমেদের সঙ্গেই বিয়ে দেওয়া হয় মেয়েটিকে । গত ১৫ জানুয়ারি সিন্ধু প্রদেশের জ্যাকোবাবাদ জেলা থেকে নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে (১৫) মেহককে আলী রাজা নামে এক যুবক অপহরণ করে । তাকে জোর করে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয় এবং তারপর একজন মুসলিমের সাথে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় । এই দুই ক্ষেত্রেই পুলিশের কোনও সাহায্যই পায়নি কিশোরীদের পরিবার । শুধু তাইই নয়,করোনা পরিস্থিতির মাঝেও প্রশাসনিক বিভেদের শিকার হয়েছিল পাকিস্থানের সংখ্যালঘু হিন্দু ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ । তাদের রেশন থেকেও বঞ্চিত করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল তখন ।।