এইদিন ওয়েবডেস্ক,বীরভূম,১৭ ডিসেম্বর : সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করতে যাওয়া কৃষকদের কাছ থেকে বস্তা পিছু ৫ কেজি ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল বীরভূম জেলায় । বীরভূমের সিউড়ি কিষান মান্ডির ধান ক্রয় কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তিনি এক্স-এ স্থানীয় একজন কৃষকের ভিডিও পোস্ট করেছেন । ক্ষিপ্ত কৃষককে বস্তা থেকে মুঠো করে ধান তুলে দেখিয়ে বলতে শোনা গেছে,’এত ফ্রেশ ধান যদি পাঁচ কেজি করে বাদ দিয়ে দেয় তাহলে কি হবে ?’ যিনি ভিডিওটি করেছেন তিনি কৃষককে জিজ্ঞাসা করেন, আপনারা উপরমহলে জানিয়েছেন?’ উত্তরে কৃষক বলেন,’না, কোথায় জানাবো আমরা ? এখানকার ম্যানেজার বলছে ৫ কেজি ঢলতা না দিলে আমরা ধান কিনব না ।’ নিজের অন্য আরেকটি বস্তা খুলে মুঠো করে ধান তুলে দেখিয়ে বলেন,’ধানে একটাও মাটি আছে নাকি দেখুন । তাতো বলছে যে পাঁচ কেজি করে দেন, তা নাহলে ধান নিয়ে বাড়ি চলে যান ।’
শুভেন্দু অধিকারী এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে লিখেছেন,’কেন্দ্র সরকারের অর্থানুকূল্যে, কৃষকদের সুবিধার্থে সহায়ক মূল্যে ধান কেনার জন্য রাজ্য সরকারগুলো কে দেওয়া কেন্দ্রের নির্দেশানুসারে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিভিন্ন স্বয়ম্ভর গোষ্ঠী ও অন্যান্য সংস্থার মাধ্যমে চাষিদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করার কাজ শুরু করেছে।বীরভূমের সিউড়ি কিষান মান্ডির ধান ক্রয় কেন্দ্র থেকেও চাষিদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা হচ্ছে, তবে সেখানে এক বস্তা ধান বিক্রি করতে গেলে বস্তায় ৫ কেজি করে ধানের ওজনে বাদ দেওয়া হচ্ছে যার ফলে চাষিরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। কোথাও কোথাও তো বস্তায় ধানের মূল্য থেকে ১০২ টাকা করেও কেটে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। এ বিষয়ে চাষিরা আপত্তি জানালে তাদের সরাসরি বলে দেওয়া হচ্ছে যে তাদের ধান নেওয়া হবে না। অগত্যা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েও চাষিরা ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।’
তিনি আরও লেখেন,’এবছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চাষিরা এমনিতেই অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। রাজ্য সরকার কে অনুরোধ করবো যে একটু মানবিক হন। আমি খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকদের, খাদ্য সচিব এবং মুখ্যসচিব কে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা করার অনুরোধ করছি। এই ঘটনা প্রতি বছর ঘটে চলেছে, এর শেষ হওয়া প্রয়োজন।’।