এইদিন ওয়েবডেস্ক,কেতুগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),১৯ মার্চ : এবারে খোদ শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস শাসিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধেই উঠল রাস্তার ধারে সরকারি জায়গায় লাগানো গাছ বেআইনিভাবে কেটে পাচারের অভিযোগ । পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামের চিনিসপুর থেকে বাদশাহী রোডের সংযোগকারী রাস্তার দুপাশের গাছ কাটার জন্য রীতিমতো টেন্ডার পর্যন্ত ডেকেছিল স্থানীয় বেড়ুগ্রাম পঞ্চায়েত । আর বনদফতরের অনুমতি ছাড়াই গাছ কেটে পাচার করে দেওয়া হচ্ছিল। বনদপ্তর খবর পেয়ে আসার আগেই ১৬১ টি গাছের মধ্যে ৬৮ টি গাছ পাচার হয়ে যায় । অবশ্য বনদপ্তর বাকি গাছগুলি কাটার কাজ বন্ধ করে দেয় । এদিকে নিজেদের অপরাধ কবুল করেছেন বেড়ুগ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান মিনার মিঞা । বনবিভাগের কাটোয়া রেঞ্জের আধিকারিক শিবপ্রসাদ সিনহা বলেন,’আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি ।’
জানা গেছে,বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ১৯৯২-৯৩ সাল নাগাদ তৎকালীন পঞ্চায়েতের উদ্যোগে চিনিসপুর মাজিপাড়া থেকে বেড়ুগ্রাম কুমরাপুকুর পাড় পর্যন্ত প্রায় ৭২০ টি গাছ লাগানো হয়েছিল । অধিকাংশ সোনাঝুড়ি গাছ । গাছগুলির বেড় যথেষ্ট মোটা হয়ে গিয়েছিল । তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে ২০২৪ সালে সেই সংখ্যা এসে দাঁড়ায় ১৬১ টিতে । গাছগুলির দেখভালের জন্য অল্প পারিশ্রমিকের ভিত্তিতে চিনিসপুর গ্রামের বাসিন্দা জাকাই শেখের উপর দায়িত্ব দেওয়া হয় । তিনি বলেন, সিপিএমের সময় থেকে ৭২০ টি গাছের দেখভাল করে আসছিলাম আমি । ২০২৪ সালে আমাকে ১৬১ গাছ বুঝিয়ে দেওয়া হয় ।’
আজ বুধবার গিয়ে দেখা গেল গাছের সংখ্যা ৯৩ টিতে ঠেকেছে ৷ প্রধান মিনার মিঞা জানান,গাছ কাটার জন্য পঞ্চায়েত থেকে সম্প্রতি টেন্ডার ডাকা হয়েছিল । একজন ব্যবসায়ীকে বরাত দেওয়া হয় । তারপর গাছগুলি কাটা হচ্ছিল। কিন্তু গাছ কাটার জন্য বনবিভাগের অনুমতি নেওয়া নেওয়া হয়েছিল ? উত্তরে তিনি স্পষ্ট জানান যে বনবিভাগের কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি । এদিকে খোদ পঞ্চায়েত এহেন বেআইনি কাজ করায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে । এখন দেখার বিষয় পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ নেয় বনদপ্তর ।।