প্রদীপ চট্টোাধ্যায়,বর্ধমান,২২ আগষ্ট : চিকিৎসাধীন রোগী মারা যওয়ার পর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন দুই ব্যক্তি । ধৃতদের নাম প্রশান্ত ঘোষ ও কার্তিক বৈরাগ্য।ধৃত দু’জনেরই বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রামের শিবদা গ্রামে । শনিবার রাতে গুসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভাঙচুর চালানোর দায়ে এই দু’জনকে গ্রেপ্তার করে আউসগ্রাম থানার পুলিশ ।সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ রবিবার দুই ধৃতকেই পেশ করে বর্ধমান আদালতে । বিচারক ধৃতদের জেল হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ,শনিবার রাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন বছর ৪২ বয়সী আউসগ্রামের শিবদা গ্রামের বাসিন্দা গৌতম পাল। তাঁর বুকে ব্যাথা হচ্ছিল । পরিবার পরিজন ও প্রতিবেশীরা ওই দিন রাত সাড়ে দশটা নাগাদ গৌতমবাবুকে গুসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে য়ায়।স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসকরা তরিঘরি তাঁর চিকিৎসা শুরু করেন।হাসপাতালের একটি বেঞ্চে গৌতম বাবুকে শুইয়ে রেখে চিকিৎসা চলছিল।একটি ইনজেকশন দেওয়ার পর গৌতমবাবু কোনভাবে ওই বেঞ্চ থেকে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারান। এরপর চিকিৎকরা পরীক্ষা করে গৌতম পালকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ।
এদিকে মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই বেশ কিছু লোকজন গুসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরে জড়ো হন। তারা হঠাৎতই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জানালার কাঁচ ভাঙচুর শুরু করে দেন । তা নিয়ে রাতে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়।আতঙ্কিত হয়ে পড়েন হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা ।স্বাস্থ্য কেন্দ্রর কর্তৃপক্ষ ততক্ষণাত খবর দেয় পুলিশকে।খবর পেয়ে পুলিশ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পাশাপাশি কয়েকজনকে আটক করে। পরে তাদের মধ্যে দু’জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
মৃত রোগীর ভাই বাপি পাল বলেন, ‘তাঁর দাদাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর ডাক্তারবাবু ইনজেকশন দেন। তার খানিক পরেই তাঁর দাদা হাসপাতালে বেঞ্চ থেকে পড়ে গিয়ে মারা যান ।’ বাপি পাল এদিন দাবি করেন তিনি রোগী নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন । কারা হাসপাতালে ভাঙচুর করেছে তার কিছুই তিনি জানেন না ।
গুসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার দেবজ্যোতি ঘোষ জানান,এই ভাবে হাসপাতালে হামলা হলে তাঁরা কি করে চিকিৎসা করবেন। ঘটনার জন্য তাঁরা যথেষ্টই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন । দেবজ্যোতী বাবু ২৪ ঘন্টার জন্য হাসপাতালে নিরাপত্তার বন্দোবস্ত রাখার দাবি করেছেন ।।