প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,৩১ মে : সরকারির হাসপাতালের জমির মাটিতেও এবার থাবা বসালো মাটি মাফিয়ারা । আর তা নিয়েই তোলপাড় পড়ে গিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে। করোনা- আক্রান্তদের চিকিৎসার স্বার্থে মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালের জমিতে ১০০ শয্যার ভবন তৈরি জন্য যে বিশাল পরিমান মাটি খুঁড়ে তুলতে হয় সেই মাটি রাতারাতি উধাও হয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালের সুপার তথা বিএমওএইচ দেবাশিস বালার কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন মেমারির বাসিন্দারা । অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন মহল সহ স্বাস্থ্য দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন হাসপাতাল সুপার ।
মেমারি গ্রামীন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কথায়,পূর্ত দফতর বছর খানেক আগে থেকে কোভিড হাসপাতালের ভবন নির্মানের কাজ করছে।তখন ভবন নির্মাণের জন্য মাটি খোঁড়া হয়েছিল।এলাকাবাসীর অভিযোগ, খোঁড়া মাটির পরিমাণ প্রায় ৩০০ ট্রাক হবে । তার পুরোটাই ‘মাটি মাফিয়ারা পাচার করে দিয়েছে।কোন দরপত্র ডাকা না হওয়া সত্ত্বেও স্বাস্থ্য দফতরের বিনা অনুমতিতে যাঁরা মাটি গায়েব করলো তাদের কটোর সাজার দাবি করেছেন অভিযোগকারীরা ।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি,ওই মাটি বিক্রির জন্য কোনও দরপত্র ডাকা হয়নি । মাটি নিয়ে যাওয়ার জন্যেও কেউ অনুমতি দেয়নি । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মনে করছেন,লক্ষ লক্ষ টাকা মুনাফা লাভের জন্য কোন অসাধু চক্র ওই বিশাল পরিমাণ মাটি পাচার করে দিয়েছে । উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত সাপেক্ষে মাটি পাচারকারিদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহনের ব্যাপারে স্বাস্থ্য দফতর তৎপর হোক এটাই চাইছেন মেমারির বাসিন্দারা ।
পূর্ত দফতর (সামাজিক ক্ষেত্র) সূত্রে জানা গিয়েছে,
নব নির্মিত ভবন তৈরির সময় প্রচুর পরিমানে মাটি তুলে ফেলে দিয়ে ওই জায়গা বালি দিয়ে পূরণ করতে হয়েছে । নিয়ম অনুযায়ী হাসপাতালে জায়গা থাকা মাটি সেখানেই ব্যবহার করতে হবে। আর যদি সেই মাটি বাইরে কোথাও নিয়ে গিয়ে ফেলতে হয় তার জন্য বিএমওএইচের অনুমতি প্রয়োজন। যদিও বিএমএইচ দেবাশিস বালার দাবি,তাঁকে অন্ধকারে রেখেই পাচার হয়েছে মাটি । আর পূর্ত দফতরের (সামাজিক ক্ষেত্র) এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার কনক সাহার জানান,অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের কাছ থেকে তিনি রিপোর্ট চেয়েছেন।।