এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),২৭ ফেব্রুয়ারী : পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে এক প্রসূতির মৃত সন্তান প্রসব করানোর ঘটনায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠল । মৃত সন্তানের জন্ম হওয়ার পর পুতুল গাইন নামে ওই প্রসূতির স্বামী অনন্ত কুমার গাইন এনিয়ে হাসপাতাল সুপারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন । তার অভিযোগ যে হাসপাতালে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসক প্রথমে সিজার করে সন্তান প্রসবের কথা বললেও পরে তিনি স্বাভাবিকভাবে প্রসব করান । যার জেরেই গর্ভেই মৃত্যু হয়েছে তার সন্তানের । বিষয়টা নিয়ে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখায় প্রসূতির পরিবারের লোকজন ।
জানা গেছে, পেশায় কাঠমিস্ত্রি অনন্ত কুমার গাইন কাটোয়ার চরবিকাইহাট এলাকার বাসিন্দা । তার নয়বছরের একটি ছেলে রয়েছে । দ্বিতীয়বার অন্তঃসত্ত্বা হন তার স্ত্রী পুতুলদেবী । অনন্তবাবুর কথায়,সন্তান প্রসবের জন্য সোমবার সকালে তার স্ত্রীকে কাটোয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল । চিকিৎসক তার স্ত্রীকে পরীক্ষা করার পর জানান যে অস্ত্রপচার করে সন্তানপ্রসব করাতে হবে । কিন্তু সন্ধ্যার দিকে চিকিৎসক মত পরিবর্তন করে জানান,যেহেতু প্রথম সন্তানের প্রসব স্বাভাবিকভাবেই হয়েছিল তাই সিজার করার দরকার নাই । এরপর আজ সকালে তার স্ত্রীকে প্রসবের আগে ওষুধ ও ইনজেকশন দেওয়া হয় । কিন্তু সকাল ৮-২৫ নাগাদ তার স্ত্রীকে প্রসব করানোর পর জানানো হয় মৃত সন্তানের জন্ম হয়েছে । তার অভিযোগ সিজার করলে তার সদ্যোজাত সন্তানের মৃত্যু হতো না ।
এদিকেই ঘটনার পর প্রস্তুতির পরিবারের লোকজন হাসপাতালে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় । পরে এ নিয়ে প্রসূতির স্বামী সুপার এর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । অভিযোগ প্রসঙ্গে হাসপাতাল সুপার বিপ্লব মণ্ডল জানিয়েছেন, চিকিৎসায় গাফিলতির খতিয়ে দেখার পর দোষী প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।।