এইদিন ওয়েবডেস্ক,রাঙ্গামাটি(বাংলাদেশ),১১ সেপ্টেম্বর : বাংলাদেশের রাঙামাটি( Rangamati) জেলার কাপ্তাই (Kaptai)উপজেলার রাইখালীতে (Raikhali) ১৬ বছরের আদিবাসী কিশোরীকে গনধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশের ৬ সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে ৷ নির্যাতিতা কিশোরী হিন্দু জনজাতি মারমা(Marma) সম্প্রদায়ের । গত সপ্তাহের রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩) সকাল প্রায় ৯ টা নাগাদ কাপ্তাই সেনা জোনের রাইখালী ইউনিয়নের ৫৬ নম্বর আর্মি ক্যাম্পের মিটিংছড়ি গ্রামের ছয় সেনা সদস্য ওই কিশোরীর বাড়িতে ঢুকে গনধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ।
শুধু তাইই নয়,ঘটনার পর ক্যাম্প কর্তৃপক্ষ গণধর্ষণের শিকার কিশোরীর পরিবার ও গ্রামের প্রধানকে ক্যাম্পে ডেকে নিয়ে যায় । বিষয়টি কাউকে প্রকাশ না করার জন্য নির্দেশ দেয় এবং ভয় দেখায় ।
বর্তমানে নির্যাতিতা কিশোরী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা আশংকাজনক । রাইখালী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মিটিংয়াছড়ি গ্রামের বাসিন্দা ওই কিশোরী এসএসসি ক্লাসের ছাত্রী বলে জানা গেছে ।
যদিও গনধর্ষণের ঘটনার পর এখনো ধর্ষকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি । তার জেরে হিন্দুদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে । দোষীদের গ্রেফতারির দাবিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের নারী সংঘ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের তরফ থেকে ‘লাঠি ও ঝাড়ু মিছিল’ করা হয় এলাকায় ।
প্রসঙ্গত,পার্বত্য চট্টগ্রাম ও রাঙ্গামাটিতে মূলত বসবাস করে হিন্দু জনজাতি মারমা ও জুম্ম সম্প্রদায় । ওই এলাকাতেই রয়েছে বাংলাদেশের আর্মি ক্যাম্প । সেনাবাহিনীর মুসলিম সদস্যদের দ্বারা জনজাতির অল্প বয়সী মেয়ে ও নারীরা আকছা ধর্ষণ ও গণধর্ষণের শিকার হয় । কিন্তু ধর্ষিতার পরিবারকে ভয় দেখিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে দেয় বাংলাদেশের সেনাবাহিনী । স্থানীয় সূত্রে খবর, চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে জুন পর্যন্ত ১২ জন হিন্দু জনজাতি মহিলা ও কিশোরী বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর পাশবিক লালসার শিকার হয়েছে । কিন্তু ওই ১২ টি ঘটনার মধ্যে মাত্র দুজন ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । বাকি দশটি ঘটনায় অন্তত ২৪ জন ধর্ষকের বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ।।
তথ্যসূত্র ও ছবি : সৌজন্যে হিন্দু ভয়েস ।