দিব্যেন্দু রায়,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),০৫ সেপ্টেম্বর : শিক্ষক নিয়োগ দূর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী বর্তমানে জেলে । এই মামলায় প্রায় দিনই নিত্যনতুন রহস্য উদঘাটন করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল । এনিয়ে তোলপাড় চলছে রাজ্যসহ গোটা দেশ । এই পরিস্থিতিতে প্রাইমারি স্কুলে চাকরির নামে ১২ লক্ষাধিক টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ায় । কাটোয়া থানার অগ্রদ্বীপের সুবোধ কলোনীর বাসিন্দা রাকেশ সরকার এনিয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন । অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছে এক মহিলা সহ ৫ জন । তারা প্রত্যেকেই মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর ও কুলি এলাকার বাসিন্দা বলে পুলিশের কাছে জানিয়েছেন রাকেশবাবু ।
রাকেশ সরকার জানিয়েছেন,তিনি একটি কাপড়ের দোকান চালাতেন । সেই সুত্রে মুর্শিদাবাদের ওই ৫ জনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয় । বাড়িতেও যাতায়ত ছিল তাদের । তাঁকে ও তাঁর দাদাকে প্রাইমারি শিক্ষকের চাকরি করে দেওয়ার নামে প্রায় সাড়ে ৩ বছর আগে ১২৫৮৩৭০ টাকা নিয়েছিল তারা । আর ওই টাকা জোগাড় করতে গিয়ে ব্যবসায় পূঁজি ভাঙতে হয়েছে । স্ত্রীর যাবতীয় গহনা বিক্রি করতে হয়েছে । এমনকি বাড়িটা পর্যন্ত বন্ধক রাখতে হয়েছে বলে জানান রাকেশ ।
তিনি আরও বলেন,’৬ মাসের মধ্যেই আমাদের নিয়োগপত্র দেওয়ার কথা । কিন্তু ধাপ্পা দিয়ে ওরা বছরের পর বছর কাটিয়ে দিয়েছে । তারপর শিক্ষক নিয়োগ দূর্নীতি মামলা প্রকাশ্যে আসতেই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকি । কিন্তু টাকা ফেরত দেওয়া তো দুরের কথা ওরা উলটে ফোনে আমাদের হুমকি দিচ্ছে ।’
জানা গেছে, রাকেশ সরকারের সাত বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে । কিন্তু সর্বস্ব খুইয়ে এখন সংসার চালানোই দায় হয়ে গেছে রাকেশের । সেই কারনে কয়েকমাস আগে মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে গেছেন রাকেশের স্ত্রী । রাকেশ এদিন বলেন,’ওই টাকা ফেরত না পেলে আমরা শেষ হয়ে যাবো ।’।