এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাঁকুড়া,১২ এপ্রিল : এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বাঁকুড়া জেলার সিমলাপাল থানা এলাকার লক্ষীসাগর এলাকা । লক্ষীসাগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চিকিৎসার গাফেলতির অভিযোগ তুলে সিমলাপাল-খাতড়া সড়ক পথ অবরোধ করলেন উত্তেজিত জনতা । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন সিমলাপালের বিডিও, সিমলাপাল থানার আইসি ও স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা । শেষে তাঁদের অনুরোধে অবরোধ তুলে নেওয়া হয় । পুলিশ শরৎ মণ্ডল (২৫) নামে ওই যুবকের দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে ।
জানা গেছে, বনসারেঙ্গা গ্রামে বাড়ি শরৎ মণ্ডল নামে ওই যুবকের । সোমবার সকালে তিনি প্রাতঃকৃত্য সেরে বাড়ি ফেরার পরেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন । সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে লক্ষীসাগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসে পরিবারের লোকজন । কিন্তু কিছুক্ষনের মধ্যেই হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে ।
মৃতের স্ত্রী রিম্পা মণ্ডলের অভিযোগ , ‘আমার স্বামীর চিকিৎসা করা তো দুরের কথা করোনার অজুহাতে দেখিয়ে হাসপাতালের গেটই খোলা হয়নি । ফলে সম্পূর্ণ বিনা চিকিৎসায় আমার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে ।’ মৃতের ভাই গৌতম মণ্ডলের দাবি, ‘দাদাকে যখন হাসপাতালে আনা হয় তখন কর্তব্যরত নার্সরা প্রাতঃভ্রমণে বেড়িয়েছিলেন । তাঁদের বহুবার অনুরোধ করলেও ভাইয়ের কোন চিকিৎসাই করেননি ।’
এদিকে যুবকের মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই বনসারেঙ্গা গ্রামের লোকজন লক্ষীসাগর সেন্টার মোড়ে জমায়েত হয়ে সিমলাপাল-খাতড়া সড়ক পথের উপর টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ শুরু করে দেন । যদিও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে কিছুক্ষনের মধ্যেই অবরোধ উঠে যায় ।
এদিকে চিকিৎসায় গাফেলতির অভিযোগ মানতে চাননি সিমলাপালের বিএমওএইচ রামাশিস টুডু । তাঁর দাবি, ‘হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই ঐ যুবকের মৃত্যু হয়েছিল । এছাড়া এই মুহূর্তে হাসপাতালের চিকিৎসক ছুটিতে আছেন । তাই কর্তব্যরত নার্সরা ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন । কিন্তু পরিবারের লোকজন সেকথা শোনেননি ।’।