এইদিন ওয়েবডেস্ক,উত্তর ২৪ পরগনা,০৩ জুলাই : চোপড়াই ‘ইনসাফ সভা’র নামে তরুনীকে বর্বরোচিত ভাবে মারধর এবং কোচবিহারের মাথাভাঙায় বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার নেত্রীকে বিবস্ত্র করে পাশবিক অত্যাচার চালানো অভিযোগ ঘিরে যখন তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি,ঠিক সেই সময় উত্তর ২৪ পরগনা জেলার জগদ্দল বিধানসভার শ্যামনগরে বিজেপির এক মহিলা কর্মীর উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে । এমনকি তার পোশাক ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে ।
বিজেপি নেতা অমিত ঠাকুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই মহিলার একটা ছবি পোস্ট করে লিখেছেন,’জল নিয়ে বিতর্কের অজুহাতে আজ সকালে জগদ্দল বিধানসভার অধীনে শ্যামনগরের বিজেপি কর্মী রূপা দেবনাথকে (৩৮) আরও মারধর করা হয়েছে । হাসপাতালে তার মাথায় ৩টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। গণনার দিনেও তার ওপর হামলা হয়েছিল । বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের ভয় দেখানোর জন্য গুন্ডাদের ব্যবহার করছে টিএমসি।’
জানা গেছে,আজ বুধবার সকালে রূপা দেবনাথ যখন পাড়ার কলে জল আনতে গিয়েছিলেন সেই সময়েই একদল দুষ্কৃতী তাঁর উপর হামলা চালায় । ধারাল কিছু অস্ত্র দিয়ে তার মাথায় কোপ বসানো হয় । রূপাদেবীর অভিযোগ,’আমায় জল নিতে দেয়নি । তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমার নাইটি ছিঁড়ে দিয়েছে । মাথায় অস্ত্র দিয়ে কোপানোর পাশাপাশি আমায় ওরা মেরেছে ।’ তার আরও অভিযোগ যে বিজেপিকে সমর্থন করার অপরাধে গত ৪ জুন লোকসভার ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়ে আসছে । বিভিন্নরকমভাবে হুমকি দিচ্ছে । দুষ্কৃতীদের হামলার ভয়ে তারা বাড়ি থেকে কার্যত বের হতে পারেন না ।
জানা গেছে, আজ হামলার পর রূপা দেবনাথকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বিএন বোস হাসপাতালে ভর্তি করেন বিজেপির লোকজন । বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি । যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব এই ঘটনার সঙ্গে তাদের দলের কোনো যোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন ।।