এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,০৬ এপ্রিল : লোকসভার পর রাজ্যসভায় ‘ওয়াকফ সংশোধনী বিল’ পাস হয়েছে । লোকসভায় এই বিষয়টি নিয়ে ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিতর্ক চলে। রাজ্যসভায় প্রায় একই সময় ধরে আলোচনা চলে। বিজেপি তার মিত্রদের সমর্থন পেয়েছে এবং এখন এই বিলটি বর্তমানে রাষ্ট্রপতির কাছে রয়েছে। বিলটি রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে । ‘ওয়াকফ সংশোধনী বিল’ সমর্থন করেছে ‘অল ইন্ডিয়া মুসলিম উইমেন পার্সোনাল ল বোর্ড’ । এই বিষয়ে অল ইন্ডিয়া মুসলিম উইমেন পার্সোনাল ল বোর্ডের সভাপতি শায়েস্তা আম্বরের একটি বিবৃতি এসেছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর প্রতিবেদন অনুসারে, তিনি বলেছেন,ইতিবাচক কাজ করা উচিত। পূর্ববর্তী সরকার এবং ধর্মীয় নেতাদের উচিত ছিল এখন সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা নেওয়া… যারা ওয়াকফকে দান করেন তাদের উদ্দেশ্য থাকে যে তাদের দান দরিদ্রদের জন্য কাজে লাগবে… কিন্তু তা ঘটছিল না। এমন নয় যে সব ওয়াকফ জমির অপব্যবহার হয়েছে, কিন্তু ওয়াকফ বোর্ড সততার সাথে কাজ করেনি। তার যা করা উচিত ছিল, সে তা করেনি। আমরা আশা করি এবং সরকারের কাছে অনুরোধ করছি যে যদি বিলটি আসে, তাহলে ওয়াকফ জমিগুলি সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সাথে দরিদ্র শ্রেণীর জন্য ব্যবহার করা উচিত । তিনি আরও বলেন,আজ পর্যন্ত কোন সরকারই মুসলমানদের জন্য কাজ করেনি। তারা কেবল ভোটব্যাংকের রাজনীতি করেছেন। আমরা বিজেপি সরকারের কাছে নারীদের তাদের অধিকার প্রদান এবং ওয়াকফ বোর্ডে স্বচ্ছতা আনার আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যান্য দলগুলি এখন পর্যন্ত কী করেছে? তারা কি ঘুমাচ্ছিল? আমি বর্তমান সরকারের কাছে অনুরোধ করছি যে, আজ পর্যন্ত যা-ই ঘটেছে… এখন তাদের উচিত ওয়াকফ জমি মুক্ত করতে সাহায্য করা। অবৈধভাবে দখলকৃত জমির তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
এদিকে ‘ওয়াকফ সংশোধনী বিল’ সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছে কংগ্রেস ও ইসলামি দলগুলি । উভয় কক্ষে বিলটি পাস হওয়ার পর, দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে । সেই ক্ষোভে হাওয়া দিচ্ছে কংগ্রেস,বামপন্থী, তৃণমূল কংগ্রেস,সমাজবাদী পার্টি ও আম আদমি পার্টির মত রাজনৈতিক দলগুলি । গত ৪ঠা এপ্রিল, গুজরাট, পশ্চিমবঙ্গ এবং বিহারে বিক্ষোভও হয়েছে । তবে কোনও রাজ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি। কিছু জায়গায় পুলিশ লোকজনকে আটকও করেছে। এই বিলের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে চারটি পৃথক আবেদন দাখিল করা হয়েছে। কংগ্রেস সাংসদ মহম্মদ জাভেদ, এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এবং এএপি বিধায়ক আমানতুল্লাহ খান বিলটিকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। তারা ছাড়াও, ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য প্রোটেকশন ইন দ্য ম্যাটার অফ সিভিল রাইটস’ও সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন দাখিল করেছে।।