এইদিন ওয়েবডেস্ক,আবুজা,(নাইজেরিয়া),০৫ ডিসেম্বর : গত সপ্তাহান্তে বুরকিনা ফাসোর উত্তর অঞ্চলের একটি অবরুদ্ধ শহর নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে কমপক্ষে ৪০ জন বেসামরিক নাগরিককে নির্মমভাবে হত্যা করল আল- কায়েদা-সংশ্লিষ্ট সন্ত্রাসী গোষ্ঠী । এই হত্যাকাণ্ডকে জাতিসংঘের অধিকার অফিস ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে অবিহিত করেছে । আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর সাথে যুক্ত সন্ত্রাসীদের হুমকির মধ্যে পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে সাম্প্রতিক বছরগুলির মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় নাশকতা । বিপুল সংখ্যক সন্ত্রাসী মালির সীমান্তের কাছে জিবোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করেছিল ।
রাজধানী ওয়াগাডুগু থেকে ২১০ কিলোমিটার (১৩০ মাইল) দূরে অবস্থিত শহরটি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সন্ত্রাসবাদীদের দ্বারা অবরোধের মধ্যে রয়েছে, যেকারণে প্রায়শই প্রয়োজনীয় পরিষেবা পেতে লড়াই করতে হয় সাধারণ মানুষকে ।
রবিবারের সর্বশেষ হামলায় সন্ত্রাসবাদীরা ৪২ জনকে আহত করেছে এবং অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত লোকদের জন্য তিনটি শিবিরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে, জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের মুখপাত্র সেফ মাগাঙ্গো মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেছেন যে হামলার জন্য একটি শাখা সন্ত্রাসী জোট জেএনআইএমকে দায়ী করেছে। আল-কায়েদার সাথে জোটবদ্ধ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম ।
জাতিসংঘের বলেছে,’ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক ব্যক্তিদের লক্ষ্যবস্তু করা যুদ্ধাপরাধ । বেসামরিক নাগরিকদের উপর হামলা অমার্জনীয় অপরাধ এবং এটি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে । কর্তৃপক্ষের দ্বারা সম্পূর্ণ, নিরপেক্ষ ও স্বাধীন তদন্তের পর দায়ী ব্যক্তিদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে ।’
প্রসঙ্গত,বুরকিনা ফাসোর প্রায় অর্ধেক এলাকা সরকারি নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে। স্থলবেষ্টিত এই দেশটি জিহাদি হামলায় বিধ্বস্ত । এযাবৎ সন্ত্রাসবাদীরা হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে এবং অন্তত ২০ লক্ষেরও বেশি মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে । গত বছর দুটি অভ্যুত্থানের চেষ্টা দেশের স্থিতিশীলতাকে আরও হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে ।।