এইদিন ওয়েবডেস্ক,ময়মনসিংহ,৩০ অক্টোবর : চেহেরার মিল থাকায় মেয়ে ভেবে মায়ের মুখ চেপে ধরে তুলে ধানখেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে দিল প্রতিবেশী ব্যক্তি৷ এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানা এলাকায় । সোমবার রাতে এনিয়ে প্রতিবেশী আকমল হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে নির্যাতিতা । তবে মামলা হতেই চম্পট দিয়েছে অভিযুক্ত । পুলিশ তাকে খুঁজছে ।
জানা গেছে,আকমল হোসেন বিবাহিত । সে স্থানীয় একটি কোম্পানির কর্মচারী এবং এলাকার একটি প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য ৷ অন্যদিকে নির্যাতিতা গৃহবধূর বাড়ি আকমলদের বাড়ির পাশেই । বধূ ও তার একমাত্র কিশোরী মেয়ের সঙ্গে চেহেরার হুবহু মিল আছে ।নির্যাতিতার মেয়ে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী । ওই কিশোরীর উপরেই মূলত কুনজর পড়েছিল আকমলের । মাদ্রাসায় যাতায়াতের পথে প্রায়ই সে কিশোরীকে উত্যক্ত করত বলে অভিযোগ ।
জানা যায়, ঘটনা ঘটেছে গত ১৮ অক্টোবর । পাশাপাশি বাড়ি হওয়ার সুবাদে রাতে ঘরের জানালা দিয়ে কিশোরীদের বাড়ির উপর নজর রাখছিল আকমল হোসেন । অনেকটা রাতের দিকে কিশোরীর মা শৌচাগারে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হয়েছিলেন । একে চেহেরার মিল, তার উপর মেয়ের ওড়না জড়িয়ে থাকায় মা’কে মেয়ে ভেবে ভুল করে আকমল । এরপর বধূ শৌচাগারে ঢুকলে আকমল নিজের ঘর থেকে বেরিয়ে সেখানে অন্ধকারের মধ্যে ওৎপেতে বসে থাকে সে । কিছু সময় পর বধূ শৌচাগার থেকে বের হলে আকমল তাকে জাপটে ধরে ফেলে । তারপর বধূর মুখ চেপে ধরে প্রায় ১০০ গজ দুরে একটা ধানখেতে তাকে তুলে নিয়ে যায়৷ সেখানেই মহিলার উপর পাশবিক অত্যাচার চালায় সে ।
জানা গেছে, কোনো রকমে আকমলের হাত মুখ থেকে সরিয়ে বধূ চিৎকার শুরু করে দেয় । চিৎকার শুনে মহিলার স্বামী ও প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসে । বেগতিক বুঝে আকমল চম্পট দেয় । এদিকে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে আকমল হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন নির্যাতিতা ও তার পরিবারকে হুমকি দিতে শুরু করে । সেই ভয় প্রথমে থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতা । পরে সাহস সঞ্চয় করে থানায় দ্বারস্থ হন তিনি । সোমবার রাতে অভিযোগ দায়েরের পর মঙ্গলবার নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয় । এদিকে অভিযোগ দায়েরের পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত আকমল হোসেন । পুলিশ তার সন্ধানে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে ।।

