এইদিন ওয়েবডেস্ক,লখনউ,০৭ ডিসেম্বর : উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ জেলায় এক চাঞ্চল্যকর তিন তালাকের ঘটনা ঘটেছে । উত্তরপ্রদেশের রাদাবাদের কাটঘর থানার বাসিন্দা নিদা জাভেদকে তার স্বামী আজজুল আবেদিন তিন তালাক দিয়েছে কারণ তিনি সম্বলের সহিংসতার বিষয়ে পাথরবাজির বিরোধিতা করে পুলিশের পদক্ষেপকে সমর্থন করেছিলেন। আর এই অপরাধে স্বামী আজজুল আবেদিন তাকে ‘কাফের’ ও ‘মুসলমানদের শত্রু’ আখ্যা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
বিয়ের পর থেকেই মন খারাপ ছিল অভিযুক্তের।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, ভুক্তভোগী নিদা জাভেদ জানিয়েছেন যে তার প্রথম বিয়ে হয়েছিল ২০১২ সালে, যার থেকে তার তিনটি সন্তান রয়েছে। ২০২১ সালে বিবাহবিচ্ছেদের পরে, তিনি প্রতিবেশী বসবাসকারী আজাজুল আবেদিনের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এজাজুল তাকে গুরুগ্রামে নিয়ে গিয়ে তার সঙ্গে সহবাস শুরু করে। পরে চাপ বাড়লে পুলিশের হস্তক্ষেপে বিয়ে হয়ে যায় তাদের । বিয়ের পর থেকে এজাজুল তাকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতে থাকে। নিদা বলেছেন যে তার স্বামী প্রায়শই ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ঝগড়া করতেন, কিন্তু যখন তিনি সম্বল সহিংসতার বিরুদ্ধে পাথরবাজির বিরোধিতা এবং পুলিশের পদক্ষেপকে সমর্থন করেছিলেন, তখন বিষয়টি আরও খারাপ হয়ে যায়। তাকে মারধর করে তিন তালাক দিয়ে দেয় আজজুল আবেদিন ।
মহিলা জানান, একদিন বাড়িতে সম্বলের সহিংসতার ভিডিও দেখছিলেন তিনি । সেই সময় তার স্বামী আসে । দু’জনেত মধ্যে এনিয়ে আলোচনা চলছিল। তখন তিনি বলেছিলেন যে পুলিশ পাথর নিক্ষেপকারীদের লাঠিপেটা করে সঠিক কাজ করেছে। এ কথা শুনে এজাজুল ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মুসলমানদের শত্রু আখ্যা দিয়ে তাকে তিন তালাক দেয় । নিদার অভিযোগ, এজাজুল তাকে কাফের বলেছে । নিদার মতে, তার দেবরও তার সাথে নোংরা ব্যবহার করার চেষ্টা করেছিল, যার জন্য তিনি ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের করেছেন। নির্যাতিতা এসএসপি অফিসে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এসএসপি সাতপাল আন্তিল বলেছেন যে মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং বিষয়টির তদন্ত চলছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি৷গোটা ঘটনার তদন্তভারই কাটঘর পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন এসএসপি।
নির্যাতিতা মহিলার আইনজীবী অভিষেক শর্মা বলেন, সংবিধানের ১৯ অনুচ্ছেদে প্রত্যেক নাগরিকের তার মতামত প্রকাশের অধিকার রয়েছে। সেটা কারো সমালোচনা হোক বা সমর্থন হোক। এর ভিত্তিতে কোনো নারীকে হয়রানি করা হলে তা সম্পূর্ণ বেআইনি।।