এইদিন ওয়েবডেস্ক,মুম্বই,১৩ অক্টোবর : বিধানসভা নির্বাচনের আগেই মহারাষ্ট্রে বড়সড় রাজনৈতিক আলোড়ন শুরু হয়েছে। শনিবার রাতে শহরের বান্দ্রা এলাকায় এনসিপি দলের অজিত পাওয়ারের গোষ্ঠীর নেতা বাবা সিদ্দিকীকে গুলি করা হয়, বাবা সিদ্দিকীকে লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা সিদ্দিকীকে মৃত ঘোষণা করেন। বাবা সিদ্দিকীর অফিসের কাছে গুলি চালানো হয়। পুলিশ এখন পর্যন্ত দুই খুনিকে গ্রেপ্তার করেছে এবং অন্যদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।খবরে বলা হয়েছে, বাবা সিদ্দিকী ১৫ দিন আগে প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছিলেন। এরপর কার্যত ঘরে ঢুকে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। হত্যা মামলায় উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানার দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বাবা সিদ্দিকী মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে একটি বড় নাম। প্রাক্তন মন্ত্রী, তিনি তিনবার বিধায়ক ছিলেন। বাবা সিদ্দিকী পূর্ব বান্দ্রায় গুলিবিদ্ধ হন এবং ঘটনাটি ঘটে নির্মল নগর থানা এলাকায় । ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চের দল। এ ঘটনায় দুই ঘাতককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বন্দুকধারীরা সিদ্দিকীকে লক্ষ্য করে ছয় রাউন্ড গুলি করে, যার তিনটি গুলি সিদ্দিকীর শরীরে লাগে।
বাবা সিদ্দিকীর মৃত্যুর খবর শুনে বলিউড নায়ক সালমান খানও লীলাবতী হাসপাতালে পৌঁছেছেন, অভিনেতা সালমান খান ও শাহরুখ খান বাবা সিদ্দিকীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। এছাড়াও ২০১৩ সালে, অভিনেতা শাহরুখ খান এবং সালমান খানের মধ্যে বিভেদ দূর করে দুজনের মধ্যে পুনর্মিলন ঘটান সিদ্দিকী ।
বাবা সিদ্দিকীর খুনের পর শিবসেনা (ইউবিটি) দলের মুখপাত্র আনন্দ দুবে বলেছেন,’আমাদের শহর মুম্বইতে যদি প্রাক্তন বিধায়করা নিরাপদ না থাকেন, যদি সরকারী নেতারা নিরাপদ না থাকেন, তাহলে এই সরকার সাধারণ মানুষকে কীভাবে রক্ষা করবে?’ তিনি দাবি করেছিলেন যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীস যদি তার বিধায়ক এবং প্রাক্তন মন্ত্রীদের সুরক্ষিত করতে না পারেন তবে তার পদত্যাগ করা উচিত।।