মেয়েটার পোশাকী নাম ছিল,
জরায়ুছেঁড়া একদলা রক্তপিণ্ড।
মনের মাঝে জমা ছিল,
ছাইচাপা আগুনের স্ফুলিঙ্গ..
জীবনরেখা বিভাজিত,
বিভাজন রেখা আয়ুষ্কালজুড়ে..
বারবার রাস্তা কেটেছে
বুনো কুকুরের দল ভেক ধরে!
মেয়েটা খিদে মেটাতো,
রোদের তেজ গিলে গিলে..
ওষ্ঠপুটে উষ্ণ সাম্পান!
তুমুল তৃষ্ণায় পাথর..
মেয়েটা এখন আসমুদ্র হিমাচল..
বুকের মাঝে যদিও,
অথৈ সাগর নোনাধরা বালুতট।
ভাবনারা বিকশিত
উচ্চচাপের রক্তস্বল্পতায়.
শ্বেত ফরাফরাস শিরায় শিরায়।
মেয়েটা জানে অন্ধকার সত্য!
শক্তি সঞ্চয়ে সূর্য ধ্যানে বসে..
লগ্নভ্রষ্ট ভালোবাসার
ঘৃণার বাসর সাজিয়ে..
মৃত্যুর সাথে প্রতিরাতে সহবাসে!!
রাতে মানবজন্ম ভুলে,
যত্নে শুশ্রূষা করে বাকল খুলে..
কতটা পচন ধরেছে??
কতটা সুগন্ধি ছড়াচ্ছে?
গলার কাছে দলা পাকানো শূন্যতা…
মেয়েটা জীবিত,মৃত নাকি সূর্যতপা!