এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০৬ জুলাই : জাতীয় মহিলা কমিশনের (এনসিডব্লিউ) চেয়ারপার্সন রেখা শর্মার বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করেছেন নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র । তিনি রেখা শর্মা বৃষ্টির সময় নিজে ছাতা না ধরায় একটা পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় লিখেছেন,’সে তার বসের পায়জামা ধরতে খুব ব্যস্ত।’ এ নিয়ে তোলপাড় চলছে দেশ জুড়ে । বিজেপি মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজের দাবি তুলছে । কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এরাজ্যের বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল । তিনি প্রতিক্রিয়ায় মহুয়া মিত্র সম্পর্কে বলেছেন,’কদর্য ভাষা, কদর্য মানসিকতা,কদর্য সংস্কৃতি এবং কলতলার ঝগড়াটে ।’
নিজের ফেসবুক পেজে একটা ভিডিও বার্তায় অগ্নিমিত্রা পাল বলেছেন,’কদর্য ভাষা, কদর্য মানসিকতা এবং কদর্য সংস্কৃতি, এইভাবেই তারিফ করা যায় তৃণমূলের কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে। উনি বার বার প্রমাণ করেছেন যে উচ্চশিক্ষিত হয়ে আর বিদেশে চাকরি করে ওনার মানসিকতা আর ভাষা কলতলার ঝগড়াকেও হার মানাবে। জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মাজীর সম্বন্ধে যে নোংরা ভাষায় উনি টুইট করেছেন তা দেখে আমি অত্যন্ত দুঃখিত ও বীতশ্রদ্ধ। আমি অবাক হয়ে যাই এই ভেবে যে একজন মহিলার সম্বন্ধে এই ধরনের কুরুচিপূর্ণ ভাষা আরেকজন মহিলা কীভাবে ব্যবহার করতে পারেন? সংবাদ মাধ্যমের সামনে একটু বিশেষ আঙ্গুল প্রদর্শন করে নিজের “modern feminism” দেখিয়ে উনি বুঝিয়েছিলেন যে ওনার মত উচ্চশিক্ষিত নেত্রী এই ভারতবর্ষে নেই, আবার কৃষ্ণনগরের সভায় সংবাদমাধ্যমকেই কদর্য ভাষায় গালিগালাজও করেছেন। কেন ওনার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবেনা কেউ বলতে পারেন?’
প্রসঙ্গত,হাথরাসে পদদলিত হওয়ার পর রেখা শর্মা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সেখানে গিয়েছিলেন। ঘটনাস্থলে বৃষ্টির সময় এক ব্যক্তি ছাতা হাতে তার পেছনে হেঁটে যাচ্ছিল। সাংবাদিক নিধি রাজদান চেয়ারম্যান নিজে ছাতা কেন ধরেননি তা জানতে চেয়ে এক্স-এ তার প্রশ্ন তোলেন । রাজদানের পোস্টের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মৈত্র মন্তব্য করেছেন,সে তার বসের পায়জামা ধরতে খুব ব্যস্ত। মহুয়া মৈত্রের করা এই অবমাননাকর মন্তব্যের নিন্দা করেছে জাতীয় মহিলা কমিশন (এনসিডব্লিউ)। পাশাপাশি সেই সাথে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে এই বক্তব্যের স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে গ্রহণ এবং সাংসদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। এ নিয়ে পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে এনসিডব্লিউ । বিজেপিও তৃণমূল সাংসদের ইস্তফা চেয়েছে।।