এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,২১ আগস্ট : দেশীয় ভাবে তৈরি মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র অগ্নি-৫ সফলভাবে পরীক্ষা করেছে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও) । ওড়িশার চাঁদিপুরে অবস্থিত ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ থেকে ‘অগ্নি-৫’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি পরীক্ষামূলকভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মতে, এই পরীক্ষায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি তার সমস্ত কার্যকরী এবং প্রযুক্তিগত সক্ষমতা সফলভাবে যাচাই করেছে। ডিআরডিও-এর তথ্য অনুযায়ী, ক্ষেপণাস্ত্রটি সর্বোচ্চ ৬০০ কিলোমিটার উচ্চতায় উড়তে পারে এবং এর পাল্লা প্রায় ৫,০০০ কিলোমিটার।এই ক্ষেপণাস্ত্রের বিশেষত্ব হল এটি পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে পারে এবং এতে MIRV প্রযুক্তি রয়েছে, অর্থাৎ এটি একই সাথে একাধিক স্থান লক্ষ্যবস্তু করতে পারে।অগ্নি-৫ এর পাল্লা ৫,০০০ কিলোমিটারেরও বেশি, যা এটিকে ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্রগুলির মধ্যে একটি করে তুলেছে। এতে সঠিক নেভিগেশন, নির্দেশিকা ব্যবস্থা এবং শক্তিশালী ইঞ্জিন রয়েছে, যা এটিকে অত্যন্ত বিপজ্জনক করে তোলে।
এর সবচেয়ে বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল এটি মাল্টিপল ইন্ডিপেন্ডেন্টলি টার্গেটেবল রিএন্ট্রি ভেহিকেল (এমআইআরভি) প্রযুক্তিতে সজ্জিত। এই প্রযুক্তির সাহায্যে একটি মাত্র ক্ষেপণাস্ত্র বিভিন্ন স্থানে একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। এছাড়াও, এতে আধুনিক নেভিগেশন, গাইডেন্স সিস্টেম, উন্নত ওয়ারহেড এবং শক্তিশালী ইঞ্জিন রয়েছে, যা এটিকে আরও নির্ভুল এবং মারাত্মক করে তোলে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০ আগস্ট ওড়িশার চাঁদিপুরে ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ থেকে মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘অগ্নি-৫’ সফলভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা সূত্র জানিয়েছে যে ডিআরডিও আজ টেস্ট রেঞ্জ থেকে মাল্টিপল ইন্ডিপেন্ডেন্টলি টার্গেটেবল রি-এন্ট্রি ভেহিকেল (এমআইআরভি) প্রযুক্তি ব্যবহার করে ‘অগ্নি-৫’ সফলভাবে পরীক্ষা করেছে। সূত্রমতে, পুরো পরীক্ষাটি বিভিন্ন টেলিমেট্রি এবং রাডার স্টেশন দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল। ক্ষেপণাস্ত্রটি সমস্ত নির্দিষ্ট পরামিতি পূরণ করেছে। ভারত প্রথমবারের মতো ১৯ এপ্রিল, ২০১২ তারিখে চাঁদিপুরের ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ থেকে ‘অগ্নি-৫’ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালায়। পরে ভারত মহাসাগরের একটি বিন্দু থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষা চালানো হয়।
এই পরীক্ষা প্রমাণ করে যে ভারতের কৌশলগত বাহিনী স্বল্প প্রস্তুতিতে এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম।প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের কৌশলগত শক্তি বৃদ্ধি করবে এবং শত্রুদের জন্য একটি শক্তিশালী বার্তা। এই সফল পরীক্ষা ভারতের প্রতিরক্ষা প্রস্তুতিতে নতুন শক্তি যোগ করেছে এবং এটি দেশের নিরাপত্তার জন্য একটি বড় পদক্ষেপ।।

