সঞ্জয় মণ্ডল,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),১২ মার্চ : পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার কাঁচগড়িয়া গ্রামে বছর ৪১-এর এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে । বাড়ির ঠাকুর ঘরের মধ্যে বধূকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ভাতার থানার পুলিশ । পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম সুতপা পাল । মৃতার বাপের বাড়ির লোকজন সুতপাদেবীর শ্বশুরবাড়ির প্রতি তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন । যদিও এনিয়ে থানায় কোনো নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলে জানা গেছে । অন্যদিকে মৃতার স্বামীর দাবি যে তার স্ত্রীর সন্তান না হওয়ায় হতাশায় ভুগছিলেন । পুলিশ মৃতদেহটি বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর পাশাপাশি একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ।
জানা গেছে,কাঁচগড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা উত্তম কুমার পালের সঙ্গে প্রায় ২১ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল সুতপাদেবীর । কিন্তু তাঁর কোনো সন্তান হয়নি । উত্তমবাবুর কথায়,’সন্তান না হওয়ার কারনে আমার স্ত্রী দীর্ঘ দিন ধরেই হতাশায় ভুগছিলেন । বিভিন্ন চিকিৎসককে দেখানো হয়েছিল ওষুধও চলছিল তার । কিন্তু আমার স্ত্রী যে এত বড় ঘটনা ঘটিয়ে দেবে কখনো স্বপ্নেও কল্পনা করিনি ।’
মৃতার দেবর উৎপল পাল বলেন,’প্রতিদিনের মত আজ মঙ্গলবার সকালে বউদি দু’তলা বাড়ির উপরতলায় ঠাকুর ঘরে পূজা করতে গিয়েছিলেন । কিন্তু তিনি আর নেমে আসেননি।বউদি অনেকক্ষণ নিচে নেমে না আসায় সন্দেহ হয় আমাদের । এরপর আমরা উপরে গেলে ঘরের মধ্যে বৌদিকে গলায় দড়ির ফাঁস দেওয়া অবস্থা ঝুলতে দেখি । এরপর চিৎকার করে প্রতিবেশীদের ডাকাডাকি করি ।’
জানা গেছে,ইতিমধ্যে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ভাতার থানার পুলিশ । পুলিশ ওই বধূকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ভাতার গ্রামীন হাসপাতালে আনে। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ পরিবার পরিজন ।।