দিব্যেন্দু রায়,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),১০ ডিসেম্বর : চার দিনের ভারত সফরে এসে পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ার করজগ্রামে মামাবাড়িতে কাটিয়ে গেলেন বাংলাদেশের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী মহম্মদ শাহরিয়ার আলম । বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে তিনি নিজেই গাড়ি চালিয়ে ভারতে আসেন । মুর্শিদাবাদ ও বীরভূম হয়ে ওইদিন রাতের দিকে সোজা চলে আসেন করজগ্রাম নিবাসী মামা চৌধুরী আবদুস সালামের বাড়িতে । শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত তিনি মামাবাড়িতেই কাটান।
এদিকে প্রায় ২৪ ঘন্টা এমন হাইপ্রোফাইল অতিথিকে পেয়ে খুব খুশি করজগ্রামবাসী । মামার বাড়িতেও ভাগনের আদর যত্নের কোনও খামতি ছিল না । বাড়ির দেশি মুরগি তো ছিলই । সেই সঙ্গে ভাগনের জন্য পুকুর থেকে বড় কাতলা মাছ ধরিয়ে রেখেছিলেন মামা চৌধুরী আবদুস সালাম । মন্ত্রীর সম্পর্কে মামি চৌধুরী আখতারা খাতুন নিজের হাতে রান্না করে খাওয়ান মহম্মদ শাহরিয়ার আলমকে । এদিনের দুপুরের মেনুতে ছিল ভাত,ডাল, সবজি, মুরগির মাংসের ঝোল, কাতলা মাছের ঝাল আর তার সঙ্গে নলেনগুড়ের রসগোল্লা ।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা স্মরণ করেন মহম্মদ শাহরিয়ার আলম । তিনি বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা ভোলার নয় । বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ,মেঘালয় ও ত্রিপুরার স্বতঃস্ফূর্তভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে এসে দাড়িয়েছিল । এছাড়া এক কোটির বেশি শরনার্থীকে প্রায় এক বছর ধরে ভারত আশ্রয় দিয়েছিল ভারত । সত্তর দশকে তখন ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা এতটা ভালো ছিল না । আমরা বর্তমানে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বুঝতে পারছি তখন ভারতকে কতটা ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে ।’
মন্ত্রীর মামা চৌধুরী আবদুস সালাম বলেন, ‘সাহনিয়ার আলম আমার দিদির ছেলে । যখন অভিভক্ত বাংলা ছিল তখন দিদির বিয়ে হয় । দিদির সঙ্গে কয়েক বারই করজগ্রামে এসেছিল ভাগনা । তবে তখন ওর বয়স খুবই কম ছিল । মন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম এখানে আসলো ।’ এদিকে বহুবছর পর মামাবাড়িতে এসে আদর যত্ন পেয়ে খুবই উৎফুল্ল মহম্মদ শাহরিয়ার আলম । গ্রামবাসীদের মধ্যেও তাঁকে ঘিরে প্রবল উৎসাহ দেখা যায় । শুক্রবার করজ গ্রামের লোকজন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসে । গ্রামবাসীদের উৎসাহ দেখে আপ্লুত মন্ত্রী প্রোটোকল ভেঙে কিছুক্ষণের জন্য তাদের সঙ্গে মিশে যান । তারপর এদিন বিকেলের দিকে মামার বাড়ি ছেড়ে সিষ্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলকাতায় উদ্দেশ্যে রওনা হন বাংলাদেশের মন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ।।