এইদিন ওয়েবডেস্ক,বেরেলি,১৮ মে : প্রথম সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর আরও সন্তান নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল স্বামী । কিন্তু বধূ ফের সন্তান নিতে অস্বীকার করেন । সেই রাগে মদ্যপ স্বামী তাকে তিন তালাক দিয়ে দেয় । পরে মদের নেশা কাটলে স্ত্রীকে সে হালালা করার জন্য চাপ দিতে থাকে । এতে বীতশ্রদ্ধ হয়ে মুসলিম ধর্ম ত্যাগ করে হিন্দু ধর্ম গ্রহন করলেন ওই বধূ । ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের বেরেলি (Bareilly) জেলার । শুধু ধর্ম পরিবর্তনই নয়,হিন্দু পুরুষকে বিয়ে করে রীতিমতো সুখে সংসার করছেন নাসরিন (Nasreen) ওরফে নেহা (Neha) । কিন্তু বিয়ের পর হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে নাসরিন ও তাঁর বর্তমান স্বামী রাহুলকে । নাসরিনের পরিবার প্রতিনিয়ত তাদের টুকরো টুকরো করে দেবে বলে হুমকি দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ । শেষে নিরাপত্তার দাবি জানাতে বরেলির এসএসপি-এর দ্বারস্থ হয়েছেন ওই দম্পতি ।
জানা গেছে,উত্তরপ্রদেশের বেরেলি জেলার ভামোরা থানার অন্তর্গত দিগই গ্রামের বাসিন্দা নাসরিন । তিনি মিডিয়ার কাছে জানিয়েছেন,তাঁর আগের স্বামী একজন মদ্যপ ছিল । প্রায় দিনই নেশা করে বাড়ি এসে তাকে মারধর করত । তাকে অকারণ সন্দেহ করত । তিনি প্রথম সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরে ফের সন্তান নিতে অস্বীকার করেন । সেই কারনে একদিন মদ্যপ স্বামীর সঙ্গে তার বচসা হয় । আর বচসার মাঝেই তিন তালাক দিয়েছিল তার মুসলিম স্বামী । পরে মদের নেশা কেটে গেলে তাকে হালালা করার জন্য চাপ দিতে শুরু করে । প্রতিনিয়ত তার এই নোংরা প্রস্তাবে অতিষ্ট হয়ে তিনি বাপের বাড়ি চলে যান ।
নাসরিন জানান,নিজের ও সন্তানের ভরনপোষণের জন্য বছর খানেক আগে দিল্লিতে একটি কাজে লাগেন তিনি । সেখানেই পরিচয় হয় বর্তমান স্বামী রাহুলের সঙ্গে । ক্রমে দু’জনে প্রেমে পড়েন । শেষে রাহুলকে নিজের জীবনসঙ্গী হিসাবে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই নাসরিন । হিন্দু রীতিনীতি মেনে ধর্মান্তরিত হয়ে নিজের নাম রাখেন নেহা । তিনি সাফ জানিয়ে দেন,কেউ তাকে হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য করেনি,তিনি নিজের ইচ্ছায় হিন্দু ধর্ম গ্রহন করেছেন । নাসরিন মনে করেন হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে মহিলাদের অনেক স্বাধীনতা আছে,আর রাহুলের সঙ্গে তিনি সুখে থাকবেন । নাসরিন বলেছেন,’আমি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করলেও হিন্দু ধর্মের প্রতি বরাবর আমার একটা টান ছিল । আমি আমার বাকি জীবন হিন্দু রীতিনীতি মেনেই কাটাতে চাই ।’।