এইদিন ওয়েবডেস্ক,মালদা,২৪ ফেব্রুয়ারি : বিজেপির কার্যালয়ের পাশেই মাঠ । সেই মাঠে জনসভা করেছিল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস । জনসভার পর বিজেপির কার্যালয়ের সামনে ও মাঠ জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল চায়ের ভাঁড়,কাগজ ও পলিথিনের প্যাকেট প্রভৃতি আবর্জনা । তৃণমূলের তরফ থেকে সেগুলি পরিষ্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ । বুধবার ওই সমস্ত আবর্জনা পরিষ্কার করলেন বিজেপি কর্মীরা । পাশাপাশি গোটা মাঠে গঙ্গাজল ছিঁটিয়ে শুদ্ধিকরন করা হল । মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের ঘটনা । বিজেপির দাবি, ‘অপবিত্র’ তৃণমূল কর্মীদের সংস্পর্শে আসার কারনে গোটা মাঠটাই অপবিত্র হয়ে গেছে । তাই গঙ্গাজল ছিঁটিয়ে শুদ্ধিকরণ করা হল । অন্যদিকে বিজেপির এই শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়াকে ‘নাটক’ বলে কটাক্ষ করেছে শাসকদল ।
মঙ্গলবার বিকেলে হরিশ্চন্দ্রপুর টাউন লাইব্রেরী মাঠে তৃণমূলের একটি জনসভা ছিল । ওই জনসভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানি । জন সমাগম ভালোই হয়েছিল বলে দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের।
জানা গেছে,লাইব্রেরী মাঠের ঠিক পাশেই রয়েছে বিজেপির কার্যালয় । এদিন সকালে বিজেপি কর্মীরা দেখেন তাঁদের কার্যালয়ের সামনে রাস্তায় ও মাঠ জুড়ে পড়ে রয়েছে চায়ের প্লাস্টিকের ভাঁড়,কাগজ ও প্লাস্টিকের প্যাকেট ।
হরিশ্চন্দ্রপুরে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি রূপেশ আগারওয়াল বলেন, ‘তৃণমূলের জনসভার পর এদিন সকালে আমরা এসে দেখি আমাদের কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় ও গোটা মাঠে প্লাস্টিকের ভাঁড়,কাগজ ও প্লাস্টিকের প্যাকেট প্রভৃতি আবর্জনায় ভর্তি হয়ে আছে । আশা করেছিলাম তৃণমূল ওই আবর্জনা পরিষ্কার করার উদ্যোগ নেবে । কিন্তু আজ বেলা পর্যন্ত তা পরিষ্কার করার কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি । এটাই তৃণমূলের শিক্ষাদিক্ষা।’
জানা গেছে, তৃণমূলের লোকজন আবর্জনা পরিষ্কার করে দিয়ে যাবে এই আশায় সকাল থেকে বেশ কিছুক্ষন ধরে নিজেদের কার্যালয়ে বসে অপেক্ষা করেন বিজেপি কর্মীরা । কিন্তু বেলা পর্যন্ত তৃণমূলের তরফ থেকে আবর্জনা পরিষ্কারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না দেখে বিজেপি কর্মীরা নিজেরাই ঝাঁটা হাতে আবর্জনা পরিষ্কার করতে শুরু করে দেন । আবর্জনা পরিষ্কারের পর কার্যালয়ের সামনে রাস্তা ও মাঠে গঙ্গাজল ছিটিয়ে শুদ্ধিকরণ করা হয় ।
কিন্তু শুদ্ধিকরণ কেন ? এর উত্তরে রূপেশ আগারওয়াল বলেন, ‘কোনও অপবিত্র জিনিষকে পবিত্র করার জন্য গঙ্গাজল ছিটিয়ে শুদ্ধিকরণ করা হয় । জনসভায় যে সমস্ত তৃণমূলিরা এসেছিলেন তারা সবাই তো কাটমানি খোর,ঘুঁষ খোর । সারদা-নারদা কেলেঙ্কারীর সাথে জড়িত । গরিব লোকেদের টাকা লুটপাট করেছে । ২০১৭ সালের বণ্যাত্রাণের টাকা লুটপাট করেছে । সেই জন্য আমরা মনে করি যারা ওই সভায় এসেছিল তারা সবাই অপবিত্র লোক ৷ তাদের স্পর্শে মাঠটাও অপবিত্র হয়ে গেছে । তাই গঙ্গাজল ছিটিয়ে মাঠটাকে আমরা পবিত্র করেছি ৷’
এর উত্তরে হরিশ্চন্দ্রপুর তৃণমূল কংগ্রেস যুব সভাপতি জিয়াউর রহমান বলেন, “এটা নাটক ছাড়া আর কিছু নয় । সোমবারের আমাদের জনসভা জনস্রোতে পরিণত হয়েছিল । জন সমাগম দেখে ওরা ভয় পেয়ে গেছে ।’।