এইদিন ওয়েবডেস্ক,আলিপুরদুয়ার,২৩ অক্টোবর : পশ্চিমবঙ্গে কার্যত নিয়মিত ব্যবধানে ঘটে চলেছে নারী নির্যাতনের ঘটনা । এবারে আলিপুরদুয়ার জেলার জয়গাঁওয়ে মাত্র ৭ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে । ৮ দিন আগে পূর্ব পরিচিত এক ‘কাকু’র সঙ্গে খাবার কিনতে কিনতে বেড়িয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় মেয়েটি । ওইদিন রাতেই থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার । কিন্তু মেয়েটি এবং ওই ব্যক্তির কোনো সন্ধান করতে পারেনি পুলিশ । মঙ্গলবার জয়গাঁর একটি মাঠ থেকে ওই শিশুর পচাগলা দেহ উদ্ধার হয় । এই ঘটনায় নেপালের একটি ইটভাটা থেকে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । গ্রেফতার করা হয়েছে আরও ২ জনকে । পরিবারের আশঙ্কা তাদের মেয়েকে গনধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে । পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই গনধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে ।
এদিকে মৃত শিশুর শোকার্ত পরিবারের সঙ্গে যাতে কোনো বিজেপির জনপ্রতিনিধি সাক্ষাৎ করতে না পারে সেই উদ্দেশ্যে ২ কিলোমিটার আগে থেকে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করে রাখার অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । এনিয়ে তিনি এক্স-এ লিখেছেন,’নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ পশ্চিমবঙ্গে প্রতিদিন বাড়ছে কারণ তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের অপরাধীদের আশ্রয় দেওয়ার নীতি তাদের ভয় ছাড়াই কাজ করতে উৎসাহিত করেছে। এবার আলিপুরদুয়ার জেলার জয়গাঁওয়ে ৭ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে। কিন্তু আশ্চর্যজনক বিষয় হল যে নির্যাতিতার বাড়ির প্রায় ২ কিমি আগে বিপুল সংখ্যক পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে, যাতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করতে না পারে৷ দার্জিলিং-এর বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা এবং কালচিনির বিধায়ক বিশাল লামা শোকসন্তপ্ত পরিবারের সাথে দেখা করতে যাচ্ছিলেন৷ কিন্তু সংবেদনশীল পুলিশ সদস্যরা তাদের বাধা দেয়।
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে বাধা দিয়ে পুলিশ কী আড়াল করতে চাইছে? এই জঘন্য অপরাধের সত্যতা খুঁজে বের করতে জনপ্রতিনিধিদের বাধা দিতে কে নির্দেশ দিচ্ছেন ? কেন পুলিশ, যারা এখনও সমস্ত সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি তারা অপ্রয়োজনীয় কাজকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এই ঘটনাটি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের চরম ব্যর্থতার আরেকটি উদাহরণ, যারা বারবার নারী ও শিশুদের সুরক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে।’।