এইদিন ওয়েবডেস্ক,মঙ্গলকোট(পূর্ব বর্ধমান),২৭ এপ্রিল : বিষ্ণুমূর্তির পর এবার পূর্ণাঙ্গ সূর্য দেবতার মূর্তি উদ্ধার হল পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের খেড়ুয়া গ্রামের কাছে অজয় নদের জল থেকে । পাথরে নির্মিত চুতুর্ভুজ সূর্যদেবের দুই হাতে রয়েছে দুটি প্রস্ফুটিত পদ্ম । বাকি দু’হাতে ঠিক কি আছে তা স্পট নয় । সাতটি ঘোড়ায় টানা রথের উপর দণ্ডায়মান সূর্য দেব । নীচে আছেন উষা ও প্রত্যূষা । তাঁদের পাশেই দেখা যাচ্ছে উষা প্রত্যূষার দুই পরিচারিকা দন্ডী ও পিঙ্গলা । মূর্তিটি একাদশ-দ্বাদশ শতকে নির্মিত বলে অনুমান ইতিহাসবিদদের ।
দিন দুয়েক আগে অজয় নদের একই জায়গা থেকে জেলেদের জালের সঙ্গে উঠে এসেছিল দুটি বিষ্ণুমূর্তি । এদিনও নদীতে মাছ ধরার সময় জটাই ধীবর নামে এক জেলের জালের সঙ্গে উঠে আসে পূর্ণাঙ্গ সূর্যদেবের মূর্তিটি ।
কিন্তু একই জায়গা থেকে একের পর এক প্রাচীন মূর্তি উদ্ধারের কারন কি ? এই বিষয়ে আঞ্চলিক ইতিহাস গবেষক স্বপন ঠাকুর বলেন,’এটা স্পষ্ট যে এক সময় এলাকায় বিষ্ণুদেবের পাশাপাশি সূর্যদেবেরও উপাসনা হত এলাকায় । পরবর্তীকালে বন্যার মতন প্রাকৃতিক বিপর্যয় অথবা হিন্দুধর্ম বিরোধীদের আক্রমনের হাত থেকে বাঁচাতে এই সমস্ত মূর্তিগুলি স্থানীয় জলাশয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছিল । এখন সেগুলি উঠে আসছে ।’
প্রসঙ্গত,মঙ্গলকোটে রয়েছে দুটি সতীপীঠ। এছাড়া প্রাচীন সভ্যতার বহু নিদর্শন পাওয়া গেছে ইতিপূর্বে । সেগুলি কখনও অজয়ের জল থেকে অথবা ব্যক্তিগতভাবে খোঁড়াখুঁড়ির সময় উদ্ধার হয়েছে । কিন্তু আজ পর্যন্ত প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণার কোনো উদ্যোগই নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ । ফলে উপেক্ষিত থেকে গেছে মঙ্গলকোটের প্রাচীন ইতিহাস । এনিয়ে এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে । স্থানীয় গ্রামবাসীদের দাবি, এলাকায় খনন কার্য চালাক পুরাতত্ত্ব বিভাগ । মঙ্গলকোটের বিডিও জগদীশচন্দ্র বাড়ুই বলেন,’স্থানীয়দের দাবির কথা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি । এখন ওনারা এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন ।’।