এইদিন ওয়েবডেস্ক,মস্কো,০৪ মে : মস্কোতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের ওপর দুটি ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলা হয়েছে । রুশ কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, ক্রেমলিনে তাদের অফিসে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন । যদিও রুশ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ড্রোন দুটিকে ধ্বংস করে দেওয়া হয় । এই ঘটনার পর রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ নতুন দিকে মোড় নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে । ক্রেমলিনে হামলার পরেই পুতিন জরুরি বৈঠক ডেকেছেন । ওই বৈঠকে মূলত ইউক্রেনকে কড়া জবাব দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয় । জানা যাচ্ছে,এবার থেকে ইউক্রেনের উপর দ্বিগুণ কঠোর হামলা চালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়া । এমনকি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন পুতিন । পাশাপাশি নিরাপত্তার অংশ হিসেবে এবার থেকে নিজের বাড়িতে তৈরি বাঙ্কার থেকেই সব কাজ করবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ।
তবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপর হামলার ঘটনা এই প্রথম নয় । ২০০৩ সালে ব্রিটেন সফরকালে সর্বপ্রথম পুতিনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ব্রিটিশ সন্ত্রাসবিরোধী পুলিশ সেই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেয় । পরে এর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রুশ গোয়েন্দা সংস্থার প্রাক্তন এক কর্মকর্তাসহ দুজনকে গ্রেফতার করে ব্রিটিশ পুলিশ।
এরপর ২০১২ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে পুতিনকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। যদিও সে চেষ্টাও ব্যর্থ করে দেয় রুশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষীবাহিনী । এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুজনকে গ্রেফতারও করা হয়।
পুতিনের উপর তৃতীয় হামলাটি হয় ২০২০ সালে । আজারবাইজানে রাষ্ট্রীয় সফরের সময় পুতিনকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। তবে এর আগেই গ্রেফতার করা হয় মূল পরিকল্পনাকারী এক ইরাকি নাগরিককে। একই বছরের শেষদিকে পুতিনের গাড়িতে বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র হয়। রুশ বাহিনী সড়কে ৪০ কেজি বিস্ফোরক থাকার তথ্য জানতে পারে। পরে পুতিনের গাড়িটি অন্য সড়ক দিয়ে যাওয়ায় সে যাত্রায় বেঁচে যান রুশ প্রেসিডেন্ট।
২০২২ সালের মে মাসে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা প্রধান বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরুর পরপরই কৃষ্ণসাগর ও কাস্পিয়ান সাগরের মধ্যবর্তী ককেশাস অঞ্চলে পুতিনের ওপর হামলার চেষ্টা হয়েছিল। তবে, তা ব্যর্থ করে দেয় গোয়েন্দারা । পুতিনের উপর সর্বশেষ হামলাটি হল মঙ্গলবার (২ মে ২০২৩) রাতে ।
যদিও ওই হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনেস্কি । ফিনল্যান্ড সফরে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন,’আমরা পুতিন বা মস্কোকে আক্রমণ করিনি । আমরা আমাদের নিজস্ব ভূখণ্ডে যুদ্ধ করছি… এর জন্য আমাদের কাছে পর্যাপ্ত অস্ত্র নেই, এটা আপনারা সকলেই জানেন।’।