এইদিন ওয়েবডেস্ক,বীরভূম,২৬ ডিসেম্বর :করোনা আবহ কাটিয়ে এবছর ঐতিহ্যবাহী শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা জমে উঠেছে। বোলপুর ডাকবাংলোর মাঠে এবছর হচ্ছে মেলা । করোনার ধাক্কায় গতবছর ছেদ পড়েছিল। তাই এই মিলন মেলার আনন্দ উপভোগ করতে মুখিয়ে ছিলেন বহু মানুষ।
বোলপুরের পৌষমেলা গ্রামবাংলার বাংলার নানান হস্তশিল্প ও কারুশিল্পের সম্ভার। চোখধাঁধানো হাতের কাজ দেখে মুগ্ধ হতে হয়। বিভিন্ন হস্তশিল্পের স্টল গুলির পাশাপাশি এবছরের বাড়তি পাওনা ‘শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজের’ স্টলটি। মেলা প্রাঙ্গনে সংস্থার এই কেন্দ্রটির বিশেষত্ব ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিষয়কে উপস্থাপন করা। যা বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করছে মেলায় আগতদের। এই ধরনের মেলায় ডিজিটাল মার্কেটিং কে সমানে রেখে উপস্থাপিত হয়েছে সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলির বিভিন্ন শিল্পকর্ম থেকে শুরু করে সামাজিক উন্নয়ন মূলক কর্মসূচির উপর বিভিন্ন তথ্যচিত্র । রবিবার দেখা যায় সংস্থার প্রচার কেন্দ্রে প্রতিনিধিত্বে ছিলেন এন এস পলিটেকনিক কলেজ, এন এস আই টি আই, এন এস বি এড কলেজ, এন এস টিচার্স ট্রেইনিং কলেজ, টেলি মেডিসিন, দিনদয়াল উপাধ্যায় গ্রামীন কৌশল যোজনা, পশ্চিমবঙ্গ সোশ্যাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট ও দোকরা ক্রাফট ক্লাস্টার প্রকল্পের প্রতিনিধিরা । যারা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ।
ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়টি নিয়ে অনেকেই ভীষণ আগ্রহী ছিলেন। তাই এই স্টলের সামনে বিশেষ জনসমাবেশ লক্ষ্য করা যায় । শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজ এর কর্নধার মলয় পিট জানান, সামাজিক বিভিন্ন কর্মসূচি থেকে নাগরিক পরিসেবা এই সবকিছুর সুফল যথাযথভাবে আপামর মানুষের কাছে পৌছানোর প্রকৃষ্ট মাধ্যম ডিজিটালাইজেশন। সংস্থা অনেক আগেই ডিজিটাল প্রযুক্তিকে সঙ্গে করে মহামারী পরিস্থিতিতে মানুষকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিয়ে এসেছে টেলি মেডিসিন পরিষেবার মাধ্যমে। আর এই গবেষণার ফলশ্রুতি মানুষের কাছে আরো পরিষেবা পৌঁছে দিতে এই ডিজিটাইজেশন এর ওপর আরো গুরুত্ব দেওয়া কাম্য। মলয় পিটের প্রস্তাব, প্রযুক্তির সমন্বয়ে সৃষ্টি এটি এমন একটি মার্কেটপ্লেস যেটি ওয়েব পোর্টাল বা কোনো আপ এর মাধ্যমে পরিচালিত হতে পারে। বর্তমান পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে এই প্লাটফর্মে সমাজের সকল স্তরের মানুষকে সমবেত করা যাবে, প্রয়োজনের প্রেক্ষিতে প্রত্যেক মানুষ তাদের প্রয়োজনীয় বার্তা, ক্রেতা বিক্রেতা সম্পর্কের মাধ্যমে সকলেই একবিশেষ সুবিধা পাবে। আসলে বর্তমানের প্রথাগত তথ্য সম্প্রচার বা প্রচার মাধ্যম এর উর্দ্ধে এই ডিজিটাল মার্কেটিং সাধারণ মানুষের কাছে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে দেবে বলে আশা কর্তৃপক্ষের। এমনকি গ্রামীন প্রত্যন্ত সাধারণ শিল্পী, কারুশিল্পী, হস্তশিল্পীদের মতো ক্ষুদ্র শিল্পীরা তথা সকল স্তরের মানুষ উপকৃত হবে। মলয়বাবু জানিয়েছেন এই প্লাটফর্মের মাধ্যমে রাজ্যের প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার বেকার যুবক যুবতির কর্মসংস্থান হবে।
স্টলের , উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন, বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল, SRDA এর চেয়ারম্যান অনুব্রত মন্ডল, বিধায়ক অভেদানন্দ থান্ডার সহ অন্যান্যরা ।।