প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৫ আগষ্ট : পঞ্চায়েতে চুরি দেখলেই এফআইআর করার জন্যে জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী । আর ঠিক তার পরেই পূর্ব বর্ধমানের কালনা ১ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ ও এক পঞ্চায়েত সদস্যার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ আনলেন এলাকাবাসী। তারা এই দুজনের বিরুদ্ধে কালনার মহকুমা শাসক ,থানা ও ব্লকের বিডিওর কাছে সরকারি আবাস যোজনা প্রকল্পে কাটমানি নেওয়া ও একশো দিনের কাজের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ দায়ের করেছেন । ঘটনা জানাজানি হতেই কালনার রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে । যদিও সমস্ত অভিযোগই অসত্য বলে তৃণমূলের প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ রমজান আলি শেখ ও পঞ্চায়েত সদস্যা রেহেনা বিবি দাবি করেছেন।
লিখিত অভিযোগে বাসিন্দারা প্রশাসনকে জানিয়েছেন, তাঁরা কালনার বিজয়নগর গ্রামের বাসিন্দা।তাঁদের অভিযোগ ,তাঁদের গ্রামের সদস্যা রেহেনা বিবি,স্বামী মেহের আলি শেখ,মেহের আলি শেখের দাদা রমজান আলি শেখ দুর্নীতি গ্রস্ত ।সরকারী আবাস যোজনা প্রকল্পে এলাকার গরীব মানুষরা যে টাকা পেয়েছেন তার থেকে তারা মোটা টাকা কাটমানি আদায় করেছে । আবাস যোজনার উপভোক্তা পিছু তারা ২০-৩০ হাজার টাকা করে কাটমানি আদায় করেছে ।
শুধু সরকারী আবাস যোজনার উপভোক্তাদের
কাছ থেকে মোটা টাকা কাটমানি আদায় করাই নয় । বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওইসব ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের লোকজন বহু ব্যক্তির ১০০ দিনের কাজের লক্ষাধিক টাকা দুর্নীতি করে আত্মসাৎ করেছে। পঞ্চায়েতে চুরি বা দুর্নীতির অভিযোগ পেলে এফআইআর করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন । বিষয়টি জানার পর তারা তাঁদের
এলাকার নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের দুর্নীতির
সবিস্তার অভিযোগ প্রশাসনকে জানিয়েছেন ।
এরপর প্রশাসন কি ব্যবস্থা নেয় সেটা দেখার জন্য এখন তাঁরা অপেক্ষায় আছেন বলে জানিয়েছেন ।
এই বিষয়ে কালনা ১ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল নেতা রমজান আলি শেখ বলেন,“আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা।বেশ কিছু ঘটনার কারণে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।”একই ভাবে পঞ্চায়েত সদস্যা রেহেনা বিবি বলেন, সব অভিযোগ মিথ্যা।সামনে পঞ্চায়েত ভোট, তাই বিরোধীরা এমন চক্রান্ত করছে।”কালনা ১ নং ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শান্তি চাল বলেন,“রমজান আলি শেখ একসময় পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন।তবে এই সব অভিযোগের বিষয় আমার কিছু জানা নেই ।’।