প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান ০৪ জুন : কিশোর আত্মঘাতী হওয়ায় এক কিশোরীর উপর বর্বরোচিত নির্যাতন চালানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন ৭ মহিলা। শহর বর্ধমানের কাঁটাপুকুর এলাকায় ধৃতদের বাড়ি। বর্ধমান থানায় পুলিশ বুধবার রাতে বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। বৃহস্পতিবার ধৃতদের পেশ করা হয় বর্ধমানের পকসো আদালতে ।পকসো আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক নন্দন দেব বর্মণ ধৃতদের জামিনের আবেদন খারিজ করেদিয়ে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ।
পুলিশ জানিয়েছে, বর্ধমান শহরের গিমটিফটক এলাকার এক কিশোরীর সঙ্গে ভাবভালবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল কাঁটাপুকুরের কিশোরের । কিশোরের পরিবার বিয়ের প্রস্তাব দিলেও কাশোরী প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় তাঁর পরিবার রাজি হয়নি ।তারপরেই গত শনিবার রাতে ওই কিশোর হোয়াটসঅ্যাপে কল করে কিশোরীকে বিয়ের কথা বলে। কিশোরী তাতে রাজি না হওয়ায় ভিডিওকল চালু রেখেই কিশোর শাড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে সিলিং ফ্যানের হুকে ঝুলে পড়ে। পরে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরদিন ময়না তদন্তের পর কিশোরের মৃতদেহ কিশোরীর বাড়িতে নিয়ে কয়েকজন । তাঁরা বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কিশোরী ও তার মাকে মারধর করে। এমনকি মৃতদেহের সামনে কিশোরীকে শাঁখা পলাও পরানো হয়। কিশোরের পায়ে সিঁদুর দিয়ে তা কিশোরীকে মাথায় নিতে বাধ্য করা হয়। পরে তা মৃতের পা দিয়েই মুছিয়ে দেওয়ার পর শাঁখা পলা ভেঙে দেওয়া হয়। ওই দিন রাতেই কিশোরীর মা ঘটনা বিষয়ে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে পকসো অ্যাক্টে মামলা রুজু পুলিশ তদন্তে নেমে ৭ মহিলাকে গ্রেপ্তার করে ।।