এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাবুল,৩০ সেপ্টেম্বর : কাবুলের পশ্চিমাংশে দস্ত-ই-বারচি এলাকায় কাজ এডুকেশন সেন্টার (Kaj education center) নামে একটি স্কুলে পরীক্ষা চলাকালীন আত্মঘাতী বিস্ফোরণে ২৩ জন নিহত এবং ৩০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে তালিবান । তবে হতাহতের সংখ্যা ঘোষিত সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা । হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক ছাত্রী আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেছে,’তখন ক্লাসে আমরা প্রায় ৬০০ ছাত্রছাত্রী ছিলাম । অনেকেই হতাহত হয়েছে । নিহতদের মধ্যে মেয়ের সংখ্যাই বেশি ।’
শুক্রবার সকালে কাবুলের দাশত-ই-বারচি এলাকার ওই স্কুলটিতে ভর্তির পরীক্ষা চলছিল । দাশত-ই- বারচি কাবুলের শিয়া মুসলিম অধ্যুষিত একটি এলাকা । ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুখতার মুদবর তালেহ শুক্রবার বিস্ফোরণের পর তার ফেসবুক পেজে লেখেন, ‘আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীরা শিক্ষাকেন্দ্রের প্রথম দরজার প্রহরীকে গুলি করে হত্যা করে । ভেতরে দুই কর্মীকে আহত করে । তারপর আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী একটি ক্লাসে ঢুকে তার ইম্প্রোভাইজড বিস্ফোরক ডিভাইসে বিস্ফোরণ ঘটায় । তখন ক্লাসে প্রবেশিকা পরীক্ষা চলছিল । এর ফলে কয়েক ডজন পড়ুয়া হতাহত হয় । আহতদের অধিকাংশই মেয়ে ।’ নিহতদের মধ্যে মুখতার মাদবরের বোন আমাল-বানিন আসগরী এবং ওই স্কুলের মালিক তাহির রেজাই রয়েছেন বলে জানা গেছে । ঠিক কতজন হামলাকারী ছিল তা এখনো স্পষ্ট নয় এবং কোনো গোষ্ঠী বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি ।
তবে এই হামলার পিছনে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আফগানিস্তান শাখা আইএস-খোরাসান (আইএস-কে) এর হাত আছে বলে মনে করা হচ্ছে । কারন আফগানিস্তানের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু শিয়া মুসলিমদের ধর্মচ্যুত মনে করে আইএস-কে। গত এক বছরে দেশটিতে যত বোমা হামলা হয়েছে, সেসবের অর্ধেকেরও বেশি হামলায় টার্গেট করা হয়েছে শিয়া সম্প্রদায়কে । আর এসব হামলার অধিকাংশই হয়েছে শুক্রবার, যে দিনটি মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের কাছে পবিত্র দিন ।
উল্লেখ্য,তালিবান ও আইএস-কে উভয়ই ইসলামি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হলেও মতাদর্শগত পার্থক্যের কারণে এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে চরম শত্রুতা আছে । তালিবান আফগানিস্তানকে একটি পরিপূর্ণ ও শরিয়াভিত্তিক ইসলামিরাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় ।অন্যদিকে আইএস-কের লক্ষ্য হল আফগানিস্তানে খিলাফত ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা ।।