এইদিন ওয়েবডেস্ক,মালদা,১৯ জুলাই : মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বছর কুড়ির এক যুবকের । গ্রামের এক নির্জন জায়গায় তাদের ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখতে পেয়েছিল কয়েকজন যুবক । তারপর তারা যুগলকে ধরে গ্রামে এনে বিয়ে দিয়ে দেওয়ার পর পরিবারের হাতে তুলে দেয় । কিন্তু যুবকের পরিবার এই সম্পর্ক মানতে চায়নি । তার জেরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হলেন ওই যুবক । মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার মানিকচক গ্রাম পঞ্চায়েতের মনকুট বাঁধ গ্রামে । পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবকের নাম মানিক মন্ডল(২০) । যদিও এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত এনিয়ে থানায় কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানা গেছে । একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।
জানা গেছে,বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান ছিলেন মানিক । তাঁর বাবা পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন । বর্তমানে তিনি কর্মসুত্রে ভিন রাজ্যে রয়েছেন । বাড়িতে থাকতেন মানিক ও তাঁর মা শ্যামলীদেবী ।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে,গ্রামের এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল মানিকের । তাঁদের এই সম্পর্ক নিয়ে কাঁনাঘুঁষোও চলত গ্রামে । শনিবার বিকেলে মানিক ও ওই ছাত্রীকে গ্রামের একটি বাগানে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলে কয়েকজন যুবক । তখন তাঁরা যুগলকে জোর করে গ্রামে নিয়ে আসে । এনিয়ে গ্রামে একটি সালিশি সভা বসানো হয় । ওই সালিশি সভায় তাদের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । তারপর যুগলকে স্থানীয় একটি মন্দিরে নিয়ে গিয়ে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় । বিয়ের অনুষ্ঠান মেটার পর দু’জনকে ছেলের বাড়িতে ঢুকিয়ে দিয়ে আসে কয়েকজন অতি উৎসাহী গ্রামবাসী । কিন্তু এভাবে জোর করে বিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদ করেন মানিকের মা শ্যামলীদেবী । পাশাপাশি তিনি নববধুকে মেনে নিতে অস্বীকার করেন বলে জানা গেছে ।
স্থানীয় ও পরিবার সুত্রে জানা গেছে,এনিয়ে রবিবার সকালে মা ও ছেলের মধ্যে একপ্রস্থ কথা কাটাকাটিও হয় । তার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই বাড়ির একটি ঘরে যুবককে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায় । খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে আনে । পরে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় । মর্মান্তিক এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে ।।