প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২০ এপ্রিল : মাধ্যমিকের পর এবার সর্বভারতীর জয়ন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষাতেও বাজিমাত করলো বঙ্গ তনয়া দেবদত্তা মাজি।জয়েন্ট এন্ট্রান্সের(JEE মেন) প্রথম সেশনের পর দ্বিতীয় সেশনেও ১০০-য় ১০০ পেয়ে প্রথম স্থান লাভ করেছে বাংলার দেবদত্তা।মেধাবী এই কন্যার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার ইন্দিরা পল্লীতে। কাটোয়ার দুর্গাদাসী চৌধুরানি বালিকা বিদ্যালয়ের কৃতী ছাত্রী দেবদত্তা ২০২৩-এর মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছিল । দেবদত্তার মতোই বাংলার আর এক সুপুত্র অর্চিষ্মান নন্দী জয়েন্ট এন্ট্রান্সের দ্বিতীয় সেশনের পরীক্ষায় ১০০-য় ১০০ পেয়ে প্রথম স্থান লাভ করেছে। গোটা দেশে ২৪ জন টপারের মধ্যে দেবদত্তা ও অর্চিষ্মান বাংলাকে গর্বিত করেছে।
সর্ব ভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার (JEE মেন) ফল শুক্রবার প্রকাশিত হয়। তখনই জানা যায় ১০০ পার্সেন্টাইল নম্বর পেয়ে বাংলার কন্যা দেবদ্তা মাঝি প্রথম স্থান দখল করেছে।তবে এত বড় সাফল্য পেয়েও উচ্ছ্বসে ভাসতে যায়নি দেবদত্তা।তাঁর এখন একটাই লক্ষ্য,JEE অ্যাডভান্সড পরীক্ষায় ভালো ফল করা। তার জন্য দেবদত্তা এখন শুধুই অধ্যায়নে মগ্ন থাকতে চায়।
দেবদত্তার বাবা জয়ন্ত কুমার মাঝি আসানসোল বি .ডি কলেজের ফিজিক্সের প্রফেসার। মা শেলীদেবী কাটোয়ার দুর্গাদাসী চৌধুরানি বালিকা বিদ্যালয়ের ফিজিক্সের শিক্ষিকা। শিক্ষক দম্পতির একমাত্র সন্তান দেবত্তার মেধার পরিচয় মেলে ছোট বয়সেই।২০২৩ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে তাক লাগানো ফল করে দেবদত্তা মাজি। ৭০০ নম্বরে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৬৯৭ নম্বর পেয়ে দেবদত্তা রাজ্যের সেরা নির্বাচিত হয় । মাধ্যমিকের পর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েই দেবদত্তা জয়েন্ট এন্ট্রান্সের প্রস্তূতি নেওয়া শুরু করে দেয় ।
সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্সের দু’টি সেশনের পরীক্ষাতেই সফল ভাবে উত্তির্ণ হয় দেবদত্তা । প্রথম সেশনের পর দ্বিতীয় সেশনের সব বিষয়ে ১০০ পার্সেন্টাইল স্কোর তাঁর।গোটা দেশে ১৪.৭৫ লক্ষ পড়ুয়া ২০২৫ শে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বসেছিল । তার মধ্যে যে ২৪ জন টপার হয়েছে তাঁদের মধ্যে বাংলার দু’জন হল দেবদত্তা মাঝি ও অচিষ্মান নন্দী।অচিষ্মান পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরের বাসিন্দা অর্চিষ্মান। ২৪ জন টপারের মধ্যে ২২ জনই ছাত্র। ছাত্রী রয়েছেন মাত্র ২ জন। ওই ছাত্রীরা হলেন বাংলার দেবদত্তা মাঝি এবং অন্ধ্রপ্রদেশের মানোগনা গুথিকোন্ডা।
মেয়ে দেবদত্তার সাফল্যে খুশি তাঁর মা-বাবা। তাঁরা জানান ,মাধ্যমিক পরীক্ষায় সফল ভাব উত্তির্ণ হওয়ার পর থেকে দেবদত্তা উচ্চ মাধ্যমিকের পাশাপাশি জয়েন্ট এন্ট্রান্সের পড়াশোনাও শুরু করেছিলেন।দিনে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পড়াশোনা করতো ।জয়েন্টের প্রস্তুতির জন্য দেবদত্তা বেসরকারি কোচিং সেন্টারে প্রশিক্ষণও নিয়েছে। মা শেলীদেবী বলেন,“সামনেই JEE অ্যাডভান্সড পরীক্ষা রয়েছে। তার জন্য অধ্যায়নে ব্যস্ত দেবদত্তা। JEE অ্যাডভান্সড পরীক্ষায় ভালো ফল করে দেবদত্তা বেঙ্গালুরুর আইআইএসসি থেকে উচ্চশিক্ষা করতে চায়। সেই লক্ষ্যে পৌছানো এখনো বাকি রয়েছে । তাই শুক্রবার প্রকাশিত রেজাল্ট নিয়ে আমরা মেয়ে উচ্ছাসে ভাসতে চাইছে না।।