এইদিন ওয়েবডেস্ক,মুম্বাই,১৭ নভেম্বর : কিছুদিন আগে দক্ষিণী অভিনেত্রী রশ্মিকা মন্দানার ডিপফেক ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায় । ক্ষুব্ধ অভিনেত্রী পুলিশের দ্বারস্থ হন । মামলাটি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ । সেই জের মিটতে না মিটতেই এবার বলিউড অভিনেত্রী কাজলের ডিপফেক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে । ডিপফেক প্রযুক্তির ব্যবহার করে অন্য মহিলার মুখের জায়গায় বসিয়ে দেওয়া হয়েছে কাজলের মুখ । এর এক সপ্তাহ পরেই ক্যাটরিনা কাইফের একটি ছবি একই রকমভাবে ভাইরাল হয়েছিল । একের পর এক একই ঘটনা ঘিরে তোলপাড় পরে গেছে বিনোদন জগতে ।
সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া অভিনেত্রী কাজলের ডিপফেক ভিডিওতে ডান কাঁধে একটা গোলাপি রঙের হাতব্যাগ এবং পরনে স্যান্ডো গেঞ্জি দেখা গেছে ৷ যদিও মূল ভিডিওটি একজন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারের। ভিডিওটিতে কাজলের মুখ এডিট করে বসানো হয়েছে।আসল ভিডিওটি ‘গেট রেডি উইথ মি’ ট্রেন্ডের একটি ভিডিও ছিল, যা গত ৫ জুন টিকটকে আপলোড করা হয়েছিল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কাজলের ভক্তরাও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। রাশ্মিকার মতো আইনি ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানাচ্ছেন অভিনেত্রীকে। যদিও এই ভিডিও প্রসঙ্গে এখনো মুখ খোলেননি কাজল।
এদিকে রাশ্মিকার ডিপফেক ভিডিও নিয়ে মামলার পর মাঠে নেমেছে পুলিশ। সর্বশেষ তথ্য অনুসারে একজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে । এছাড়াও সব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরমকে অভিযোগ দায়েরের ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে এ ধরনের কন্টেট সরানোর কথা বলা হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে কাজে লাগিয়ে ভুয়া ছবি, ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার প্রবণতা ক্রমে বেড়েই চলেছে। ‘ডিপফেক’ মূলত এমন প্রযুক্তি, যার সাহায্যে কারো ছবি বা ভিডিও এমনভাবে এডিট করে দেওয়া যাতে আপাতদৃষ্টিতে আসল-নকলের পার্থক্য বোঝা কঠিন হয়ে যায়। এখন এর জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তারও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতির কারনে কেন্দ্রের তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরমগুলোর জন্য নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। অনলাইনে এ ধরনের ‘ডিপফেক’ ভিডিও ভাইরাল হলে কী কী শাস্তি হতে পারে, তা জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। তথ্য-প্রযুক্তি আইন ২০০০-এর ৬৬-ডি ধারায় স্পষ্ট বলা আছে, কম্পিউটার রিসোর্সকে কাজে লাগিয়ে যদি কেউ যোগাযোগের মাধ্যমকে ভুলভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করে, কিংবা কোনো ব্যক্তির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়, তাহলে তিন বছর পর্যন্ত জেল এবং এক লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর জানিয়েছেন, প্রত্যেক ভারতীয় যাতে সুরক্ষিত থাকে সেই লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।।
তথ্যসূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া