সেখ মিলন,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),১৬ ফেব্রুয়ারী :
কোভিড আতঙ্ক কাটিয়ে অবশেষে বাজলো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘন্টা । মারণব্যাধী করোনা ভাইরাসের কারণে বিগত দুই বছর বা তার বেশি সময় ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল । তারই মাঝে অষ্টম শ্রেণী থেকে উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি ক্লাস শুরু হয় । তার পাশাপাশি সরকারি নির্দেশ মত বুধবার থেকে কোভিড বিধি মেনে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে স্বাভাবিক ছন্দে ক্লাস শুরু হল । রাজ্যের পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার ব্লকের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়েও শুরু হল পঠনপাঠন । দীর্ঘ দুই বছরের অধিক সময়ের পর এদিন প্রথম স্কুলের আঙিনায় পা রাখল খুদে পড়ুয়ারা । দীর্ঘদিন বাড়িতে একঘেয়েমি জীবন কাটানোর পর স্কুলে পৌঁছাতেই খুশির জোয়ার লক্ষ্য করা যায় ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে । ছাত্র ছাত্রীদের কাছে পেয়ে খুশি শিক্ষক শিক্ষিকারা । খুশি অবিভাবকরাও ।
স্কুল খুলতেই এদিন পূর্ব বর্ধমানের ভাতার ব্লকের ঘোলদা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলের ইউনিফর্ম পড়ে দলবেঁধে স্কুলে এসে উপস্থিত হয় । উপস্থিতির হার প্রায় একশ শতাংশের কাছাকাছি বলে স্কুল সুত্রে জানা গেছে । নির্দিষ্ট সময়ে সকলে মিলে স্কুল চত্বরে প্রার্থনায় অংশগ্রহন করে । পড়ুয়াদের চোখে মুখে ছিল খুশির ঝলক । পড়ুয়াদের পড়াশোনার প্রতি আকৃষ্ট করতে খেলার ছলে, নাচের ছন্দে ক্লাস নিতে দেখা গেল শিক্ষকদের ।
ঘোলদা প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক রামপ্রসাদ দাস বৈরাগ্য বলেন, ‘দীর্ঘ দুই বছর পর ছাত্র ছাত্রীদের আমরা কাছে পেলাম আমরা খুবই খুশি । কোভিড বিধি মেনেই আলাদা আলাদা ক্লাসরুমে ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন পাঠন শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় অনেক ছাত্র ছাত্রীরা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে কান্নাকাটি করছে । আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলে অভিভাবকদের সহযোগিতায় তাদের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করছি ।’ সেই সঙ্গে তাঁর কথায়, ‘করোনা পরিস্থিতির কারণে পড়াশোনায় অনেকটাই ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে পড়ুয়াদের । সেই ক্ষতি কাটয়ে পুণরায় তাদের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরিয়ে নিয়ে আসাটা আমাদের কাছে কার্যত একটা চ্যালেঞ্জ । আপ্রাণ চেষ্টা জারি থাকবে ।’।