এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০৮ জুলাই : রথযাত্রার দিন দিঘার জগন্নাথ দেব কালচারাল সেন্টার বা জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে “সৌজন্য সাক্ষাতের” পর থেকেই খবরের শিরোনামে রাজ্য বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা দিলীপ ঘোষ । মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জ ও ধুলিয়ানে সাম্প্রদায়িক হিংসার পর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তার এই কথিত সৌজন্য সাক্ষাতের বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি বিজেপির নিচু তলার কর্মী থেকে হাইকম্যান্ড । পাশাপাশি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দিকে একের পর এক তোপ দেগে দলের বিরাগভাজন হন দিলীপ । তাকে কার্যত অছুৎ করে রেখে দেওয়া হয় । কোনো দলীয় কার্যক্রমে দিলীপ ঘোষকে না ডাকার সিদ্ধান্ত নেয় নেতৃত্ব । তারপর থেকেই তার তৃণমূলে যোগদান নিয়ে শুরু হয় জল্পনা । তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে যোগদান নিয়েও শুরু হয় জোর চর্চা । অবশ্য এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ নিজেও হেঁয়ালি বজায় রেখে চলছিলেন । অবশেষে আজ সোমবার নতুন রাজ্য সভাপতি সমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সেই সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটালেন দিলীপ ঘোষ । পাশাপাশি তিনি তৃণমূলকে ‘২৬ শে সাফ’ করার হুঙ্কারও দিলেন ।
রাজ্য সভাপতির সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমি স্লোগান দিয়েছিলাম উনিশে হাফ একুশে সাফ । উনিশে আমরা হাফ করেছিলাম । একুশের সাফ হয়নি, যেটুকু বেঁচে গেছে সেটা ২৬ এ সাফ হয়ে যাবে ।’ রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে যে জল্পনা চলছিল এতদিন তা নিয়েও নিজের মত স্পষ্ট করেছেন বিজেপির ওই বর্ষীয়ান নেতা । তিনি বলেন,’রাজনীতিতে এজেন্ডা তৈরি করা এটা একটা বড় অস্ত্র । পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতেও চলছে । তবে আমার মনে হয় বিজেপি কর্মীদের যাদের মধ্যে একটু দোলাচল বা আশঙ্কার মেঘ ছিল সেটা এবারে কেটে যাবে এবং তারা একসঙ্গে লড়াই করে পশ্চিমবঙ্গে পরিবর্তন করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি কোন জল্পনার অবসান করতে আসিনি । আমরা জল্পনা কল্পনায় বিশ্বাস করি না বাস্তবে বিশ্বাস করি।’
কিন্তু দলীয় কর্মসূচিতে বাদ কেন দিলীপ ? উত্তরে তিনি বলেন,’যে কর্মসূচিতে আমার থাকার কথা সেখানে আমায় ডাকা হয়। আমি দলের কোন পদাধিকারী নই । সেই কারণে সব মিটিংয়ে আমায় থাকতে হবে তার কোন মানে নেই । দলের সাংগঠনিক কাজ চলছে । আমি আমার জেলায় আমি বুথস্তরের র কাজ করে যাচ্ছি ।’ তিনি বলেন,’আমি রাজ্য সভাপতি কে বলেছি, দলের সমস্ত কর্মী আপনার পাশে আছে । আমাদের বিশ্বাস যে আপনার হাত ধরে নবান্নে পৌঁছোবো । আপনি যা নির্দেশ দিবেন সেই অনুযায়ী দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে সাধারণ কর্মীরা পর্যন্ত লড়াই করতে রাজি আছি ।’ তিনি এও বলেন,’বিজেপি ভালো এগুচ্ছে । নির্বাচনে কিছু ভাল খারাপ রেজাল্ট হয়তো হয়েছে ।’।

