এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৩ অক্টোবর : মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির পর এবার সাংসদ সৌগত রায়ও বললেন,”রাতে মহিলাদের বাইরে বের হওয়া উচিত নয়” ৷ গতকাল উত্তরবঙ্গে “প্রমোদ ভ্রমণে”(শুভেন্দু অধিকারীর কথা অনুযায়ী) যাওয়ার আগে দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর গনধর্ষণের ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় মমতা ব্যানার্জি দাবি করেন যে তিনি নাকি খবর পেয়েছেন মেয়েটি রাত্রি ১:৩০ নাগাদ কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে গিয়েছিল । তিনি অত রাতে মেয়েদের বাইরে না বের হওয়ার পরামর্শ দেন । যদিও কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি ভিডিও বার্তায় জানায় যে নির্যাতিতা ও তার এক সহপাঠী সন্ধ্যা ৭:৫৬ নাগাদ গেটে স্বাক্ষর করে ক্যাম্পাসের বাইরে গিয়েছিল ।
এবারে তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়ও তার দলনেত্রীর সুরে সুর মেলালেন৷ দুর্গাপুরে ছাত্রীর গনধর্ষণের ঘটনা নিয়ে মতামত দেবার সময় সৌগত বলেন,”আরজি করের ঘটনা এক বছর হয়ে গেলো । তারপর এই ঘটনা ঘটেছে । দুটোই দুর্ভাগ্যজনক । বন্ধ হওয়া উচিত । কিন্তু মহিলাদেরও এত রাতে কলেজের বাইরে যাওয়া উচিত নয় । পুলিশ তো সব জায়গায় পাহাড়া দিতে পারবে না৷ একটু সাবধান হওয়া উচিত ।”
এদিকে সৌগত রায়ের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির সর্বভারতীয় আইটি ইনচার্জ অমিত মালব্য প্রশ্ন তুললেন, “আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মহিলা ডাক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যার ব্যাখ্যা কী?” তিনি সাংসদ সৌগত রায়ের বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপ এক্স-এ শেয়ার করে লিখেছেন,’মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহিলাদের ঘরের ভেতরে থাকার পশ্চাদ্গামী বক্তব্যের পর, তৃণমূল কংগ্রেসের সিনিয়র সাংসদ সৌগত রায় তোতাপাখির মত একই পরামর্শ দিয়েছেন, যেখানে তিনি পরামর্শ দিচ্ছেন যে সর্বত্র পুলিশ মোতায়েন করা যাবে না । তাহলে আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মহিলা ডাক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যার ব্যাখ্যা কী, যাকে কলেজের লেকচার রুমের ভেতরে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়েছিল? তিনি বাইরেও পা রাখেননি।’ অমিত মালব্য আরও লিখেছেন,’এটি একটি সরকারি কলেজ, এবং তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরাসরি নজরদারিতে রয়েছে।তাছাড়া, দুর্গাপুর কলেজের এমবিবিএসের দ্বিতীয় বর্ষের একজন দলিত ছাত্রী রাত ৮টায় খাবার কিনতে বের হন। রাত ৮টা হল মানুষের বাইরে বের হওয়ার স্বাভাবিক সময়। তৃণমূল কংগ্রেস কি এই যুক্তি দেয় যে রাজ্য সরকার তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে না বলেই নারীদের খাওয়া, শ্বাস নেওয়া এবং এমনকি বেঁচে থাকা বন্ধ করে দেওয়া উচিত? এটা কেমন মানসিকতা? ২০২৬ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত। তিনি বাংলার নারীদের জন্য অভিশাপ।’।

