এইদিন ওয়েবডেস্ক,শিলিগুড়ি,১৪ এপ্রিল : মালদার মোথাবাড়ি এবং মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর-শামশেরগঞ্জের পর এবারে উত্তেজনার ছড়ালো উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতে । শিলিগুড়ি পুরনিগমের চার নম্বর ওয়ার্ডের জ্যোতিনগর এলাকায় ব্যাপক পাথর বাজি এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে আজ সোমবার সকালে ৷ বর্তমানে এলাকায় র্যাফ রুটমার্চ করছে । ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন পুলিশ কমিশনার শ্রী সুধাকর । তিনি জানান যে আজ সোমবার সকালে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে পাথর ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে । বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রয়েছে । তিনি কোন প্রকার গুজব না ছড়ানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন সাধারণ মানুষের কাছে ।
প্রসঙ্গত, শিলিগুড়ির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জ্যোতিনগর এলাকায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনার সূত্রপাত গত শনিবার রাতে । ওইদিন চড়ক ব্রতীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল অন্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে । দুজন চড়ক ব্রতীকে ব্যাপক মারধর করা হয়৷ বর্তমানে তারা শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷ এই ঘটনায় স্থানীয় খালপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে । রবিবার সকালে আহতদের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিতে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে যান স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ ।
ঘটনা বিবরণ দিতে গিয়ে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেছিলেন,’শনিবার গভীর রাতে আমার কাছে ফোন আসে যে যারা চড়ক পুজো করেন পুজোর একটা অংশ হিসেবে গঙ্গা নিমন্ত্রণ করতে মহানন্দা নদীতে গিয়েছিলেন । নদীতে তারা যখন বিভিন্ন উপাচার করাছিলেন তখন পাড়ে কিছু দুষ্কৃতী বসে ছিল । ওই দুষ্কৃতীরা পূণ্যার্থীদের ওপর বোতলসহ অন্যান্য বস্তু ছুড়ে মারে । পুণ্যার্থীরা প্রতিবাদ করে । সেই সময় ২ জন পূণ্যার্থী ছিল । তারা উঠে আসার পর তাদের বেধরক মারে । রাতে এ নিয়ে কমিটির পক্ষ থেকে দুষ্কৃতীদের নামে এফ আই আর করা হয়েছে ।’
শংকর ঘোষ বলেন,’বর্তমান রাজ্য সরকার হিন্দু বিরোধী । এখানে রাজনীতি খুঁজবেন না । আসলে সরকারটাই হচ্ছে হিন্দু বিদ্বেষী। এখানে তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেসও খুঁজবেন না। আপনি যদি দাস, মন্ডল গুহ, সাহা হন তাহলে এরাজ্যে বসবাস করা আপনাদের জন্য মুশকিল । যখন তখন আপনাদের উপর আক্রমণ হবে । আর আক্রমণকারীদের বাঁচানোর দায়িত্ব পুলিশের ।’
তিনি বলেন,’আজ আপনারা দেখতে পাচ্ছেন মোথাবাড়ি, জলঙ্গি, জঙ্গিপুর, শামশেরগঞ্জ প্রভৃতি একের পর এক জায়গায় যেভাবে আক্রমণ চালানো হচ্ছে এটা পশ্চিমবঙ্গ নাকি বাংলাদেশ বোঝাই যাচ্ছে না। বাংলাদেশের যেভাবে লুটপাট হয় পশ্চিমবঙ্গ সেই একই ভাবে লুটপাট হচ্ছে ।’ তিনি বলেন,আসলে জিনটা এক । বাংলাদেশের যে জিনের জন্য হিন্দুদের উপর আক্রমণ সংগঠিত হচ্ছে ঠিক একই ভাবে পশ্চিমবঙ্গেও একই জিনের জন্য হিন্দুদের উপর আক্রমণ সংঘটিত হচ্ছে । আর হিন্দুরা ধর্মটাকে উৎসব হিসেবে নিয়েছি । তাই ধর্মের নামে মার খেলে আর কারোর খোঁজ পাওয়া যায় না৷ আর মুসলমানরা ধর্মটাকে ধর্ম হিসেবেই রেখেছে । তাই ধর্মের নামে ডাক দিয়ে তারা যেখানে সেখানে এই ধরনের গুন্ডামি করছে । এমন চলতে পারে না ।’।

