এইদিন ওয়েবডেস্ক,মির্জাপুর(উত্তরপ্রদেশ),২১ মার্চ : মাত্র দিন ছয়েক আগে বিয়ে করেছেন পেশায় পৌরসভার ঝাড়ুদার বছর পঁচিশের যুবক । নতুন অতিথি বাড়িতে আসার পর পরিবারের সবাই খুব খুশি । অল্প সময়ের মধ্যেই স্বামী,শ্বশুর,শাশুড়ী,ননদ সকলের মন জয় করে নিয়েছিল নববধূ । কিন্তু বধূর মনের মধ্যে যে ভয়ঙ্কর এক পরিকল্পনা কাজ করতে তা ঘুনাক্ষরেও টের পায়নি কেউ । উত্তরপ্রদেশের চরখড়ি শহরের বাসিন্দা অরবিন্দ খারে নামে ওই যুবক ও তার পরিবারের লোকজন সোমবার সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরেই বধূর পরিকল্পনা টের পায় । তারা দেখেন নববধূ উধাও হয়ে গেছে । বাড়ির আলমারিও লন্ডভন্ড । নগদ টাকা ও যা কিছু স্বর্ণালংকার ছিল সবকিছু নিয়ে পালিয়েছে ‘ডাকাত বধূ’। তবে একটি ব্যাগ নিয়ে বধূর পালিয়ে যাওয়ার দৃশ্য ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায় । শেষে কোতোয়ালি চরখারীর পুলিশের দ্বারস্থ হন অরবিন্দবাবুরা । জানা গেছে, আগের দিন রাতে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে দুধের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিয়েছিল বধূ । তার জেরে সকলেই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিল । আর সেই সূযোগে হাতসাফাই করে চম্পট দেয় নববধূ ।
চরখড়ি শহরের বাসিন্দা অরবিন্দ খারে চরখড়ি পৌরসভায় কন্ট্রাক্ট সুইপার হিসেবে কাজ করেন । মির্জাপুর জেলার বাবুলাল তিওয়ারির বাসিন্দা কুশিয়ারি ভাটিয়ারের মেয়ের সঙ্গে তার বিয়ের জন্য বেশ কিছুদিন ধরে যোগাযোগ চলছিল । অবশেষে গত ১৪ মার্চ বিয়ের দিন স্থির হয় । স্থানীয় মহোবার বদি চন্দ্রিকা দেবী মন্দিরে হিন্দু রীতি অনুযায়ী তাদের বিয়ে হয় । এদিকে বিয়ের দু-তিন দিনের মধ্যে শ্বশুরবাড়ির সবাইকে বশ করে ফেলে নববধূ ।
অরবিন্দ খারে জানিয়েছেন,আগের রাতে বাড়ির সকলকে এক গ্লাস করে গরম দুধ খেতে দিয়েছিল তার স্ত্রী । কিন্তু দুধের সঙ্গে যে মাদক জাতীয় কিছু মেশানো হয়েছিল তা তারা টের পাননি । তিনি বলেন,দুধ পান করার অল্প সময় পরেই সকলে অচেতন হয়ে পড়ি । পরের দিন অনেক বেলায় আমাদের ঘুম ভাঙে । দেখি আমার স্ত্রী নেই । খোঁজাখুঁজি করে দেখি টাকা পয়সা সহ সোনার যাবতীয় গহনাও উধাও হয়ে গেছে । শেষে আমরা পুলিশের দ্বারস্থ হই । পুলিশ জানিয়েছে,প্রতারক তরুনীর সন্ধান চলছে ।।