দিব্যেন্দু রায়,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),১৯ এপ্রিল : ঘরের কাজকর্মে সাহায্য না করায় কিশোরীকে তার মা বকাঝকা করেছিলেন । আর সেই অভিমানে বাড়ির সকলের নজর এড়িয়ে সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় । তারপর এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে আত্মগোপন করে থাকে । এদিকে মেয়ের চিন্তায় ভেঙে পড়েছিল কিশোরীর বাবা-মা । একথা জানতে পেরে নিজেই বাড়ি ফিরে এল পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার বাসুদা গ্রামের বাসিন্দা স্বাতী সাঁতরা নামে ওই কিশোরী ।
বাসুদা গ্রামের বাসিন্দা স্বাতী সাঁতরারা দু’বোন ও এক ভাই । সে মেজো । দিদি মন্দিরার বিয়ে হয়ে গেছে । বাসুদা হাইস্কুলে নবম শ্রেণীতে পড়াশোনা করে স্বাতী । একই স্কুলে পড়ে ভাই হারাধন । তাদের বাবা গদাধর সাঁতরা এবং মা রীতাদেবী জনমজুরির কাজ করেন । রীতাদেবী বলেন, ‘মেয়ে বাড়ির কাজে আমায় সাহায্য না করে কেবল মোবাইল নিয়ে বসে থাকতো । সেই কারনে দিন দশেক আগে মেয়েকে বকাঝকা করেছিলাম । তার কিছুক্ষণ পরেই দেখি মেয়ে উধাও হয়ে গেছে ।’
জানা গেছে,পরিবারের লোকজন প্রথমে ফোন মারফত আত্মীয়দের বাড়িতে খোঁজখবর নেয়। কিন্তু তারা ওই কিশোরীর কোনও হদিশ করতে পারেনি । মেয়েটির হয়তো কারোর সাথে পালিয়ে গেছে বলে সন্দেহ হয় তার পরিবারের সদস্যদের । এরপর চলতি মাসের ১০ তারিখে ভাতার থানায় নিখোঁজ ডাইরি করেন কিশোরীর বাবা । গত রবিবার কিশোরী নিজেই বাড়ি ফিরে আসে । সে জানায় ইন্দাসে মাসির বাড়িতে গিয়ে আত্মগোপন করেছিল।
স্বাতী সাঁতরা বলে,’মা বকাঝকা করায় খুব রাগ হয়ে গিয়েছিল আমার । তাই ওই দিন আমি লুকিয়ে ইন্দাসে মাসির বাড়ি চলে গিয়েছিলাম । আমার কথামত বাবা মায়ের কাছে সেকথা গোপন রেখে দিয়েছিল মাসি । কিন্তু যখন শুনলাম বাবা-মা খুব কান্নাকাটি করছে তখন আর থাকতে পারলাম না । বাড়ি ফিরে এলাম ।’ মঙ্গলবার ভাতার থানায় মেয়েকে সঙ্গে করে এনে তার ফিরে আসার কথা পুলিশকে জানায় গদাধরবাবু ও রীতাদেবী । এভাবে লুকিয়ে পালিয়ে যাওয়ার কারনে মেয়েটিকে মৃদু ভৎর্সনা করে পুলিশ ।।