এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভিলওয়ারা,০৩ আগস্ট : রাজস্থানের ভিলওয়ারা জেলায় ১৪ বছরের এক কিশোরীকে গনধর্ষণের পর ইঁট ভাটার জলন্ত চুল্লিতে ফেলে নৃশংসভাবে পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটেছে । ভিলওয়ারা জেলার কোটরি থানার অন্তর্গত নরসিংহপুরা গ্রামের ঘটনা । জানা গেছে,বুধবার সকালে মায়ের সঙ্গে মাঠে ছাগল চরাতে গিয়েছিল ওই কিশোরী । বিকেলে মা ছাগল নিয়ে বাড়ি ফিরে এলেও ওই কিশোরী আর বাড়ি পৌঁছায়নি। এদিকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও মেয়েটি বাড়িতে না আসায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয় ৷ কিন্তু মেয়েটির কোনো সন্ধান পায়নি পরিবারের লোকজন । পরে রাত ১০ টার দিকে ওই ইঁট ভাটায় আগুন জ্বলতে দেখে গ্রামবাসীরা । বর্ষার মরশুমে সাধারণত ইঁট ভাটা বন্ধ থাকে,তাই চুল্লিতে আগুন জ্বলতে দেখে তাদের সন্দেহ হয় । এরপর তারা ইঁট ভাটায় গেলে মেয়েটির চটি চুল্লির পাশে পড়ে থাকতে দেখতে পায় তারা । পাশাপাশি কিশোরীর চুড়ি ও কিছু হাড় পাওয়া যায় বলে পুলিশ জানিয়েছে ।
এই ঘটনায় ইঁট ভাটার কাজে আসা কালবেলিয়া যাযাবর উপজাতি সম্প্রদায়ের লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্রামবাসীরা ৷ তখন তারা কিশোরীকে গণধর্ষণ করে চুল্লিতে পুড়িয়ে মারার কথা কবুল করে । এরপর যাযাবর সম্প্রদায়ের প্রায় ৪-৫ জনকে ধরে স্থানীয় কোটদা থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় ।
বৃহস্পতিবার বিজেপি নেতা কালুলাল গুর্জার গ্রামে গিয়ে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করেন । তার অভিযোগ যে মেয়েটিকে গনধর্ষণ করা হয়েছিল এবং তার দেহ একটি ইঁটের চুলায় পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল । গুর্জার অভিযোগ করেছেন যে পুলিশ মামলায় দ্রুত পদক্ষেপ নেয়নি এবং গ্রামবাসীদের ধরার পরেই সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তার করে । পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় ধর্ষণের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হয়নি এবং আরও তদন্ত চলছে ।।