এইদিন ওয়েবডেস্ক,উনা(হিমাচল প্রদেশ),১০ এপ্রিল : যে বাড়িতে খবরের কাগজ নিতো,জলের লাইনের মেরামতির কাজ দিত, সেই বাড়ির ১৫ বছরের কিশোরীকে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল বছর তেইশের যুবক । কিন্তু মেয়েটির কাছ থেকে বাধা পেয়ে তার গলার নলি কেটে খুন করে পালিয়ে যায় সে । ঘটনাটি ঘটেছে হিমাচল প্রদেশের উনা জেলায় । এই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক আসিফ মোহাম্মদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । এদিকে ওই কিশোরীকে নৃসংশ খুনের ঘটনায় ব্যপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায় । ক্ষিপ্ত জনতা অভিযুক্তের বাড়ির সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় । পুলিশবাহিনী গেলে এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় । বিক্ষোভকারীদের দাবি,হয় অভিযুক্তকে ফাঁসি দেওয়া হোক,নচেৎ তুলে দেওয়া হোক তাদের হাতে । শেষ পর্যন্ত ক্ষিপ্ত জনতাকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে শান্ত করে পুলিশ ।
জানা গেছে,নিহত কিশোরীর বাড়ি অম্বে এলাকায় । একই এলাকার বাসিন্দা তাজ মহম্মদের ছেলে আসিফ মোহাম্মদ । ঘটনা প্রসঙ্গে হিমাচল প্রদেশের পুলিশের তরফ থেকে সংবাদ মাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, গত ৫ এপ্রিল প্রতাপনগরের অম্ব থানা এলাকায় একটি মেয়ের মৃতদেহ পাওয়ার খবর পেয়ে সেখানে যায় পুলিশবাহিনী । উনার পুলিশ সুপারও খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছোন ।
পুলিশ আরএফএসএল (RFSL) এর সাহায্যে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তদন্ত শুরু করে । তদন্তকালে জানা যায়, ঘটনার দিন দুপুর ১ টার দিকে নিহত কিশোরীর বাড়ির কাছে সংবাদপত্র বিতরণকারী হকার আসিফ মোহাম্মদকে দেখা গিয়েছিল । এই তথ্যের ভিত্তিতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় । তখন সে জানায়,’গত বছর নিহতের বাড়িতে সে প্লাম্বারের কাজ করতে গিয়েছিল । তারপর থেকে এলাকায় সংবাদপত্র হকারির কাজ শুরু করে । মেয়েটির বাড়িতেও তার কাছে কাগজ নিত । ০৫/০৪/২০২২ তারিখে দুপুর ১টার দিকে সে খবরের কাগজের টাকা সংগ্রহ করতে নিহতের বাড়িতে গিয়েছিল । তখন মেয়েটি বাড়িতে একা ছিল । কিশোরী ঘরের দরজা খুলে দিলে সে মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে । কিন্তু নিহত কিশোরী বাধা দিলে আসিফ মোহাম্মদ ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার ওপর হামলা চালায় । পরে অভিযুক্ত পালিয়ে যায় । অস্ত্রটি রাস্তার পাশে ফেলে দেয় ।
পুলিশ জানিয়েছে,এই ঘটনায় ৩০২ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে । অভিযুক্ত আসিফ মোহাম্মদকে গ্রেফতারের পর আদালতে তুলে ৪ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে । ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ । এদিকে হিমাচল প্রদেশের ডিজিপি সঞ্জয় কুন্ডু ৯ এপ্রিল (শনিবার) নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান । তারপর তিনি থানায় এসে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন । পাশাপাশি স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম(সিট) গঠন করে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ডিজিপি ।।