প্রদীপ চট্টৌপাধ্যায়,বর্ধমান,০৮ নভেম্বর : দেবী পক্ষে পুজো ঠিকঠাক হলেও বিসর্জনের সময় ঘটে গিয়েছিল অঘটন। আগুনের ফুলকিতে পুড়ে গিয়েছিল দেবী দুর্গা মায়ের পরণে থাকা শাড়ি ও মাথার চুল ।তারপর থেকেই দেবী দুর্গা মায়ের রোষে পড়ার ভয়ে তটস্থ হয়ে ছিলেন পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর ঘূণী গ্রামের বাসিন্দারা।দেবীর রোষের হাতথেকে রক্ষাপেতে দীপাবলী শেষে পিতৃপক্ষের বৃহস্পতিবার ফের নিষ্ঠা সহকারে ঘূণী গ্রামে হল দুর্গাপুজো।রুষ্ট না হয়ে দেবী দুর্গা মা যাতে প্রসন্ন হন তাই এদিন গ্রামের সবাই পুজোতে অংশ নিয়ে সেই প্রার্থনাই রাখলেন।
অন্যান বছর গুলির মত এবছরও দেবী পক্ষে ধুমধাম করেই দুর্গাপুজোর আয়োজন করেছিলো পূর্বস্থলী ২ ব্লকের মুকশিমপাড়া পঞ্চায়েত এলাকার ‘ঘূণী সর্বজনীন দুর্গোৎসব’ কমিটি। পুজো শেষে দ্বাদশীর দিন ছিল তাদের প্রতিমা বিসর্জন পর্ব। ওই দিনই ঘটে যায় অঘটন।তার জেরেই দেবীর রোষে পড়ার ভয়ে তটস্থ হয়ে পড়েন ঘূণী গ্রামের সকল বাসিন্দার।কি অঘটন ঘটেছিল ?এর উত্তরে পুজো কমিটির সম্পাদক গৌতম ভট্টাচার্য বলেন, “আগুনের ফুলকি থেকে দেবী দুর্গা মায়ের পরণে থাকা শাড়ি ও দেবীর মাথার চুল পুড়ে যায়। তা দেখে ওইদিন গ্রামের অনেকেই চোখের জল ফেলেন। কান্নাকাটি শুরু করেদেন গ্রামের মেয়েরা ও বধূরা। গ্রামের দেবী দুর্গা মা যেহেতু খুবই জাগ্রত তাই গ্রামের সবাই এই ঘটনা নিয়ে বিস্মিত হয়ে পড়েন। দেবীর রোষে পড়ার ভয় কাজ করতে শুরু করে সবার মনে।তাই দেবী দুর্গা মাকে প্রসন্ন করতে পণ্ডিত ও পুরোহিত মশাইয়ের সঙ্গে আলোচনা করে ফের দুর্গা পুজো করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই মত দুর্গা প্রতিমা তৈরির বরাত দিয়ে দেওয়া হয় । নিষ্ঠা সহকারে বহস্পতিবার হয় পুজো পাঠ। একদিনেই পুজো সম্পূর্ণ করা হয়।
পুজারি সুশান্ত কুমার ভট্টাচার্য বলেন,শাস্ত্রানুসারে ‘বিঘ্নশান্তি’ প্রক্রিয়ায় সংক্ষিপ্ত আকারে এদিন দেবীর পুজো পাঠ হয়েছে। প্রতিমা আনা থেকে বিসর্জন করা পর্যন্ত যদি কোনও বিঘ্ন ঘটে তার জন্য ’বিঘ্নশান্তি’ করতে হয়। বৃহস্পতিবার ষষ্ঠীর দপুজো শুরু করে সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীর পুজো সংক্ষিপ্ত আকারে করা হয়েছে।একদিনেই তিনবার পুজো অর্চনা করা হয়েছে। পুজোর শেষে রাতেই হয় দেবীর বিসর্জন ।।