এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২২ নভেম্বর : ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বনের কথা ইতিপূর্বে বহুবার শোনা গেছে । মনেপ্রাণে তারা মুসলিম হলেও, এমন অনেক বাংলাদেশিদের হদিশ পাওয়া গেছে যে যারা হিন্দু নামে ভুয়া ভোটার কার্ড ও আধার কার্ড বানিয়ে বহাল তবিয়তে বসবাস করে যাচ্ছে এরাজ্যে ৷ এমনকি বাবার নামটাও পর্যন্ত কোনো এদেশীয় হিন্দু ব্যক্তির নামে করে ফেলেছে তারা । একটি বাংলা নিউজ চ্যানেলের প্রতিবেদনের ভিডিও ক্লিপ ফেসবুক পেজে শেয়ার করে এমনই অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের বিজেপি নেত্রী লকেট চ্যাটার্জি । তিনি অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশি “শেখ ও খান” রা মুর্শিদাবাদে এসে হয়ে গেছে “মন্ডল-চৌধুরী- সরকার” । এমনকি কেউ কেউ শ্বশুরকে বাবা বানিয়ে ভোটার কার্ড করে ফেলেছে । এমন ২,৬৮,০০০ এরও বেশি বাংলাদেশী মুসলমানের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে তিনি দাবি করেছেন ।
লকেট চ্যাটার্জি লিখেছেন,পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে ভোটার তালিকা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে!জানা গেছে যে ২,৬৮,০০০ এরও বেশি বাংলাদেশী মুসলমান শেখ এবং খানের মতো পদবি সরিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছে, দেশে বসতি স্থাপনের জন্য মন্ডল, চৌধুরী, সরকার ইত্যাদির মতো বাঙালি হিন্দু পদবি গ্রহণ করেছে। তাদের মধ্যে অনেকেই এমনকি তাদের শ্বশুরকে তাদের নিজের বাবা হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছেন এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অবৈধভাবে আধার কার্ড এবং ভোটার আইডি পেয়েছেন। অনেকে ক্যামেরায় স্বীকার করেছেন যে, বছরের পর বছর ধরে তাঁরা একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে ভোট দেন।
লকেট চ্যাটার্জি লিখেছেন,’যদিও তারা হিন্দু নাম ব্যবহার করে ঘুরে বেড়ায়, তারা আসলে বাংলাদেশী মুসলমান। এগুলিই তৃণমূল কংগ্রেসের আসল ভোট ব্যাঙ্ক। গত কয়েক বছর ধরে মুর্শিদাবাদ এবং নিকটবর্তী সীমান্ত এলাকায় হিন্দুদের উপর মারাত্মক আক্রমণ সহ বারবার দাঙ্গা হয়েছে। এখন এটা স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে কেন এই আক্রমণগুলো ঘটছে। মুর্শিদাবাদে হিন্দুরা ধীরে ধীরে সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে। এমনকি মালদা, দিনাজপুর এবং আশেপাশের বিশাল অঞ্চলে হিন্দুদের নির্বাসিত করা হচ্ছে। এই সবকিছুর পিছনে রয়েছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের প্রধান নেটওয়ার্ক-টিএমসির ভোট ব্যাঙ্ক-যারা হিন্দু পরিচয়ে ভারতকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।’
পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন,এসআইআর প্রক্রিয়ার পর কোনও অবৈধ বাংলাদেশি মুসলিম বা রোহিঙ্গাকে ভারতে থাকতে দেওয়া হবে না।।

